বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে মর্যাদার আসনে উপনীত হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এতে আত্মতুষ্টিতে থাকার সুযোগ নেই। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আত্মতুষ্টিতে থাকার কোনো সুযোগ নেই…আত্মতুষ্টিতে থাকলে পতন অনিবার্য।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফেরার পর আজ সোমবার সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়া এক সংবর্ধনায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মিয়ানমারের প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্টারপ্রেস সার্ভিসেস নিউজ এজেন্সির ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের ২০১৮ সালের ‘আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
যুক্তরাষ্ট্রে সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রতিবারের মতো এবারও বাংলায় ভাষণ দেন। তাঁর ভাষণে চলমান রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘ ও মিয়ানমারের মধ্যকার চুক্তির বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
এ ছাড়া জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এজেন্সির প্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। এসব আলোচনায় অন্যতম বিষয় ছিল রোহিঙ্গা–সম্পর্কিত।