খুলনা থেকে আবু হামজা বাঁধন : বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাখাতে সর্বচ্চ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। যাতে দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা উন্নতীর চরমে শিখড়ে পৌছাঁয়। তারপরেও দেশের কিছু কিছু স্কুল রয়েছে। যেখানে কর্তৃপক্ষের চরম উদাশীনতায় স্কুলগুলো আধুনিকতার আলোতো দূরের কথা বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। ঠিক তেমনটি খুলনার আলীম ইষ্টার্ণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে পুরোপুরি না ঘটলেও এ স্কুলটি দীর্ঘ দিন যাবৎ রুগ্নবস্থার মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। জানাযায়, খুলনার অন্যতম ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপীঠ আলীম ইষ্টার্ণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। এ স্কুলটি ১৯৮৪ সালে খুলনার খানজাহান আলী থানার আলীম জুট মিলস লিঃ এর মধ্যে স্থাপিত হয়। এরপর থেকে এ স্কুলটি মেধা তালিকা সহ পড়াশুনার মানন্নয়নের দিক থেকে কালক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিদ্যালয়টি জড়াজীর্ণ অবস্থার মধ্যে থাকায় শিক্ষার্থীরা নানাবিধ সমস্যার সম্মূখীন হচ্ছে। তৎকালীন খুলনা ৫ আসনের সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন ইউসুফ ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়ে একটি ৩ কক্ষ বিশিষ্ট ভবন নিমার্ণ করেন। এই হলো বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নতকরন এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। কিন্তু ৮ বছর যেতেই না যেতে ওই ভবনটি ধ্বস নামতে শুরু হয়। বতর্মান ভবনটি ক্লাস করার জন্য অনুপযোগী। অন্যদিকে আলীম ইষ্টার্ণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে বতর্মান স্কুলের শিক্ষকরা ৭টি আধাপাকা শ্রেণী কক্ষে প্রায় ৫শ জন ছাত্র ছাত্রীর ক্লাস নিতে হিমশিম খাচ্ছে। সেই সাথে ওই ৭টি আধাপাকা শ্রেনী কক্ষগুলোও জড়াজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোন মুহূর্তে শ্রেণী কক্ষ গুলো ভেংগে পড়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণহানি ঘটতে পারে। এছাড়া বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবনের অভাবে শিক্ষকরা প্রতিবছরে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে তাদের বেগ পেতে হয়। যার ফলে বিদ্যালয়ের আশ-পাশের এলাকার অনেক ছাত্র-ছাত্রী দূরের স্কুলে বাধ্য হয়ে ভর্তি হচ্ছে।স্কুলটিতে সরেজমিনে যেয়ে জানাযায়, আলীম ইষ্টার্ণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে কাল বৈশাখীর ঝড়ে বিদ্যালয়ের একাংশের টিন শেড উড়ে যায়। যার ফলে অনেকটা খোলা আকাশের মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অন্যদিকে এ বিদ্যালয়ে লাইব্রেরী রুম, কমন রুম, মাল্টিমিডিয়া রুম সহ শিক্ষক মিলানায়তন রুম নাই। এ জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। খুলনা আটরা শিল্প এলাকার অন্যতম বিদ্যাপীঠ আলীম ইষ্টার্ণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবে ভূতড়ে অবস্থা বিরাজ করছে । পাশাপাশি এ স্কুলের শত শত শিক্ষার্থী বর্তমান সরকারের ডিজিাটাল উন্নয়নের ছোয়াঁ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কথা হয় স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক সৈয়দ শুকুর আলীর সাথে। তিনি জানান, বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে দিয়ে স্কুলটি এবারও এস এস সি পরীক্ষার ফলাফল খুবই সন্তোষজনক হয়েছে। যদি স্কুলটিতে সার্বিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হতো, তাহলে আমরা খুলনা জেলার মেধা তালিকার শীর্ষে স্কুলগুলোর মধ্যে থাকতাম। সুতরাং যথাযথ কর্তৃপক্ষ একটু সহানুভূতির সাথে আমাদের এই স্কুলটিতে উন্নয়ন এর অনুদান বরাদ্দ করলে, স্কুলটিকে সেরা বিদ্যাপীঠ হিসেবে আমরা তুলে ধরতে সক্ষম হতাম।