বিপিডিবি চাহিদানুযায়ী ডিজেল না নেয়ায় লোকসান গুনছে বিপিসি

470

সিআইএন ২৪  ডেক্স:
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) থেকে চাহিদানুযায়ী ডিজেল নিচ্ছে না বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। ফলে বিপিডিবির চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ ডিজেল আমদানি করে এখন বিপিসিকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। বিপিডিবির দেয়া চাহিদার সাথে তার প্রয়োজনীয়তার সমন্বয় না থাকায় বিপিসির জ¦ালানি তেল নিয়ে আসা জাহাজের ডেমারেজ চার্জ বাবদ বিশাল অংকের টাকা দিতে হচ্ছে। ফলে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে বিপিসির লোকসানের পরিমাণ। বিপিসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিপিডিবি গত সেপ্টেম্বর মাসে বিপিসি থেকে চাহিদার বিপরীতে অনেক কম ডিজেল নিয়েছে। তাতে বিপিসির ডিজেলের স্টক বেড়ে গেছে। পিডিবির চাহিদা অনুযায়ী পূর্ব থেকেই আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। ওই মোতাবেক তেলবাহী জাহাজ যথাসময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। কিন্তু তেলের ট্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত তেল থাকায় জাহাজগুলোকে খালাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসে বিপিডিবি কর্তৃক ডিজেলের চাহিদা ছিল ৭২ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু মাস শেষে বিপিডিবি নিয়েছে ৫১ হাজার ৬৬৫ মেট্রিক টন। প্রায় ২০ হাজার টন ডিজেল কম নেয়ায় বিপিসির ডিজেল ট্যাংকে ওই বিশাল পরিমাণ তেল মজুদ রয়েছে।
সূত্র জানায়, ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে চাহিদা না পাওয়ায় বিপিডিবির পক্ষে বিপিসি থেকে ডিজেল নেয়া সম্ভব হয়নি। তাতে বিপিসির ডিজেলের অতিরিক্ত মজুদ সৃষ্টি হয়েছে। তবে পিডিবির চাহিদা অনুযায়ী ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ডিজেল না নিলেও ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চাহিদার অতিরিক্ত ফার্নেস অয়েল নিয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে বিপিডিবি কর্তৃক বিপিসির কাছে ফার্নেস অয়েলের চাহিদা ছিল ৬৭ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে ফার্নেস অয়েল নিয়েছে ৭৬ হাজার ৩৩৬ মেট্রিক টন। দেশে মোট ৫৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্রেরমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ২৮টি ফার্নেস অয়েলভিত্তিক এবং ২৬টি ডিজেলভিত্তিক। তাছাড়া ডুয়েল ফুয়েল ভিত্তিক এবং গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। মূলত ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেশি বিদ্যুৎ নেয়ায় চাহিদাপত্রের চেয়ে কম ডিজেল নিচ্ছে পিডিবি।
এ প্রসঙ্গে বিপিসি’র জেনারেল ম্যানেজার বাণিজ্যিক ও পরিচালনা মো. হানিফ জানান, বর্তমানে বিপিসির ডিজেলের বিক্রয় কমে গেছে।