ফকিরহাটের কচুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছতলায় শিক্ষাদান,শিক্ষা কার্যক্রম মারত্মকভাবে ব্যাহত

460

ফকিরহাট থেকে বাদশা আলম 

ফকিরহাটের শুভদিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে গাছতলায়। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম মারত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। শনিবার ১১ টায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সরকারি ভাবে ছোট করে একটি ভবন নির্মান হয়। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের ভবণের অবস্থা ভাল না থাকায় সেটাকে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করে। নতুন ভবনের গত দুই মাস (প্রায়) পূর্বে কাজ শুরু হওয়ায় বর্তমানে টিনের ছোট একটি ঘর করে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। নেই সেখানে বিদুৎ আর সল্প পরিসরে ঘরের জায়গা হওয়ায় শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণীর কমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের রোডের পাশের্^ ও গাছতলায় শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। উপরে বড় বড় গাছের নিচে ছোট ছোট শিশুদের মারাত্মকভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে শিক্ষাদান দিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এ বিষয়ে কথা হয় প্রধান শিক্ষিকা ঝর্ণা খাতুন জানান, তিনি তার বিদ্যালয়ের অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন একটি রাজনৈতিক দলের পার্র্টি অফিসে। সেখানে বিদুৎসহ সবব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু কোমলমতি শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের আপাতত গাছতলা, রাস্তার পাশে ছাড়া শিক্ষাকার্যক্রম কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষিকা বলেন, শিশু শ্রেণীতে ছাত্র-ছাত্রী ১৫ জন, প্রথম শ্রেণীতে ১৭ জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ১৫ জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ১৮ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ২১ জন, পঞ্চম শ্রেণীতে ১৮ জন। মোট ১০৪ জন। এই ছাত্র-ছাত্রীদের যে ঘরটি আছে সে ঘরের বিদুৎতের জন্য বিদুৎ অফিসে আবেদন করা হইয়াছে। এ দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান , বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা বেশিরভাগ সময় বিদ্যালয়ে দেরীতে আসেন। এ বিষয়ে কথা হয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকরামুল নান্নু বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটি ভাংগার পর নুতন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে সে কারনে গাছ তলা বা রোডের পাশে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। নুতন ভবণ হলে সবকিছু ঠিকঠাক চলবে।