ফকিরহাট থেকে বাদশা আলমঃ
ফকিরহাট উপজেলায় মাদক, পিলার ও জালনোট ব্যবসায়ীরা সক্রিয়। ফকিরহাট ও তার পাশ^বর্তী খুলনা-মংলা রোডের কুদির বটতলা নামক স্থানের পার্শে^সহ এসব ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় অনেক ব্যাক্তি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, এই ব্যবসায়ীরা দিন-রাত মটর সাইকেলে চড়ে কাটাখালি মোড়ে ও কুদির বটতলার পাশের্^ এসে পিলার, জালনোট এবং ইয়াবা ট্যাবলেটের পার্টি এনে তাদের গন্তব্য স্থানে নিয়ে এদের মধ্যে কেউ কেউ পুলিশের অফিসার হয়ে থাকে এভাবে এ অপরাধ কর্মকান্ড প্রতারনার মাধ্যমে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। খোঁজ- খবর নিয়ে যানা যায়। গত ১৪/০৯/১৮ কে মাদক সম্ম্রাট খ্যাত ফকিরহাট উপজেলার ১ নং বেতাগার চাকুলী গ্রামের পিং মৃতঃ সৈয়দ আলীর পুত্র ভাইরাস কামাল ও তার সহযোগী সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার গাবখালী গ্রামের মোশারফের পুত্র জলিলকে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ বাগেরহাট মডেল থানার উপ-পরিদর্শক খন্দকার মোঃ এস, আই এনায়েত আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বারাকপুর নামক স্থানে ইট বোঝাই ট্রাকে তল্লাসি চালিয়ে তাদের আটক করতে সক্ষম হন।সরদার আরিফসহ দুই জনকে মাদক সহ ফকিরহাট মডেল থান আটক করেছে। এদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়। মামলা নং ২ তারিখ ০৬/১০/১৮। বর্তমানে ভাইরাস কামালদ্বয় বাগেরহাট কারাগারে রয়েছে, মামলা নং ২৩ তাং ১৪/০৯/২০১৮।ফকিরহাট মডেল থানা এস,আই বিধান সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ইয়াবাসহ সর্দার আরিফসহ দুইজনকে আটক করে, তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা হয়। মামলা নং ০২,তারিখ ৬/১০/১৮। ধনপোতা তালুক থেকে জালনোট সহ ২/৩ জনকে ফকিরহাট মডেল থানা প্রশাসন আটক করেন।বর্তমানে তারা জামিনে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউ,পি সদস্যকে কুদির বটতলা নামক স্থান থেকে ইয়াবাসহ আটক হয় এতে রুপসা-কাজদিয়া থানা একটি মাদক আইনে মামলা হয়। বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে ।মামলা নং ১১ তারিখ ১৯/০৫/১৮,জি,আর,নং ৯৪, তার বিরুদ্ধে ১ টি মাদক, ডাকাতি, ও প্রতারণা মামলা রয়েছে। ডাকতি মামলা নং রুপসা-কাজদিয়া থান ২১/০৮/২০১৪,জি,আর ১৪৫, ফকিরহাট মডেল থানা মামলা নং ০৫, তারিখ ০৩/১০/২০১০, জি,আর ১৯৫/২০১০। এই ব্যবসায়ীদের পারিবারিক ভাবে পূর্বে একদিন কাজ না করলে সংসার চলতো না। বর্তমানে এই ব্যবসায়ীদের ট্রাক, মটর সাইকেল রয়েছে, বর্তমানে মটর সাইকেল ছাড়া এরা চলতে পারে না। এই ব্যবসায়ীদের ভিতর অনেকের রয়েছে চরমপন্থীদের সাথে সখ্যতা এদের বিরুদ্ধে অনেকের নামে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের মামলাও রয়েছে। এই ব্যবসায়ীদের কয়েক বছর পূর্বে সংসার চালাতে পারতো না এখন তারা গাড়ী বাড়ীর মালিক বনে গেছে। এদের বিরুদ্ধে কেই প্রতিবাদ বা কোন কথা বললে তাকে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখানোসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হয়ে থাকে। যে কারনে এদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কেহ সাহস পায় না। কাটাখালি ও তার পাশ^বর্তীর লোকজনের অনেকের অভিযোগে জানা যায়। এই চক্র বর্তমানে সরকার দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে সময় দিয়ে সামাজিক ভাবে লোক দেখানো অনেক কর্মকান্ড করছে। এর কারণ জানতে চাইলে অনেকে বলেন, এসব নেতা কর্র্মীদের সঙ্গে চলে ফিরে বেড়ালে কেউ কোন কথা বলতে পারবেনা। এদের কোন সময় প্রশাসনিক ঝামেলা হলে সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধ কর্মকান্ড থেকে রেহাই পাচ্ছে বলে অনেকে জানান।এ বিষয়ে এদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সচেতন মহল জোর দারী জানিয়েছে।