ভারতে আঘাত হেনে দুর্বল হয়েছে তিতলি। বেশ তর্জন-গর্জন করে বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছিল ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’। এর বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। এটি বিস্তৃত ছিল ভারতের ওডিশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে। আবহাওয়াবিদের ধারণা ছিল, তিতলি ভারতের তিনটি রাজ্যে আঘাত হেনে ছোবল মারবে বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা উপকূলে।
তিতলির প্রভাবে কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিও ঝরছিল। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো নির্দেশ দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আজ বৃহস্পতিবার ভোরবেলা ওডিশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের তীব্র বেগে আঘাত হানার পর দুর্বল হতে থাকে তিতলি। এটি আরও উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও দুর্বল হতে পারে। তিতলি দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে আজ দুপুর থেকে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, দুর্বল হলেও তিতলির প্রভাবে উপকূলীয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হবে। কাল শুক্রবারও এর প্রভাবে বৃষ্টি হবে।
দক্ষিণ দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত এবং অন্যান্য এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে হবে।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে তিতলি বয়ে চলেছে। ওডিশার বিভিন্ন এলাকায় গাছ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে গেছে। বিভিন্ন অঞ্চল বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রেল চলাচল করছে না। অতিবৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়কবলিত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।