নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ
ফকিরহাটে নওয়াপাড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওষুধ সংকট, ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরা সহ এম,বি,বি,এস ডাক্তার না থাকায় SACMO ডাক্তার দ্বারা পরামর্শপত্র এলাকাবাসীকে ফিরতে হচ্ছে। সরজমিনে শনিবার ১০টায় দেখা যায় উপজেলার টাউন নওয়াপড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোন মেডিকেল বা কোন এম,বি,বি,এস ডাক্তার নেই। নামে মাত্র ডাক্তারের পদ থাকলেও বাস্তাবে নেই। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোন মেডিকেল অফিসার দ্বায়িত্ব পালন করেন না। পিলজঙ্গ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ সরকারী স্বাস্থ্যসেবা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়ে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে SACMO ডাঃ মাফুজা শিরিন বলেন, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিদিন ৫০ /৬০ জন বিভিন্ন রোগের রোগী আসে। ৩ মাস পর পর ওষুধ আসে। কোন মাসে ওষুদের সংকট হয় আবার কোন মাসে সমস্যা হয় না। আর এম,বি,বি,এস ডাক্তারের পদটি বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এম,বি,বি,এস ডাক্তার না থাকায় জনসাধারণ যে আশা নিয়ে আসে তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোন ধরনের রোগী বেশি হয় জানতে চাইলে বলেন, ডাইরিয়া, আমশয়, সর্দি-কাশি, টন্সিল, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগের রোগী আসে।
সর্বপরি কথা ছোট খাট যে কোন সমস্যা হলে চলে আসে। এছাড়া I.M.C.I এর রোগে শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। কথা হয় উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কয়েকজন রোগীরা খাদিজা, আব্দুল্লা, ফুলুরানী, নাসিম, বীথি, রেমাসহ অনেক রোগীরা জানান, ওষুদ যখন থাকে তখন দেয় মাঝে কিছুদিন ওষুদ ছিল না গ্রাম অঞ্চলের সাধারণ মানুষ সরকারী স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ –সুবিধা গ্রহনের জন্য ছুটে আসলেও অনেক সময় নিরাশায় পরিনত হয়। তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক নামের ওষুদ দেই। এন্টসিড, প্যারাসিটামল, ভিটামিন (বি কমপ্লেক্স) , হিস্টাসিন, টেট্টাসাইক্লিন , মেট্টোনিডাজল, রেনিটিডিল, ডকসিসাইক্লিন, এ্যমোক্সসিলিন , এর মধ্যে মেট্টোনিডাজল, রেনিটিডিল, এ্যমোক্স সিলিন সহ কয়েকটি ওষুদ বেশ কিছুদিন আসে না। এদিকে ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধওে স্বর্বস্ব হয়ে পড়েছে। যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।বিদুৎ থাকলেও উপ-স্ব্যস্থ্যকেন্দ্রের নিজস্ব কোন পানির ব্যবস্থা নেই। এতে ভবনের পানির ব্যবস্থা না থাকায় ও ভবনের ফাটল ধরায় যে কোন মুহুর্তে মারাত্মক বিপদে আশঙ্কায় রয়েছে বলে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তার ও কর্মচারীরা জানান। এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এম,বি,বি,এস ডাক্তার, ভবনের সংস্কার, ওষুদ সরবরাহের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন টাউন নওয়াপাড়া বাসী।