বাগেরহাট-রামপালে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের শিকার ঃ অভিযোগ দায়ের হলেও গ্রেফতার হয়নি আসামীরা

368

বাদশা আলম, নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ 

রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা এলাকায় কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়া ও উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে, ধর্ষনের শিকার হয়েছে বলে ছাত্রীর মা নুরজাহান বেগম, ৪(চার) জনের নামে রামপাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত ২২/০৯/১৮ ইং তারিখে এঘটনায় অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। অভিযোগ পত্রে জানাযায় ছাত্রীর পিতা সোহরাব গাজী জানান, হেলাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের পড়ুয়া কন্যা কলেজে আসা-যাওয়ার পথে একই এলাকার পিতা আসাবুরের পুত্র মহাবুব (২১) কু-প্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতো, এ ঘটনায় আমার কন্যা তার মাকে জানানোর পর মাহাবুরের বাড়ীতে গেলে তার পিতা আসাবুর, লতিফা বেগম, আঃ রব আকুঞ্জী মিলে আমার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মার পিটের ভয় সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি -দামকি দিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। উক্ত ঘটনার জের ধরে গত ০৬/০৯/১৮ ইং তারিখে রাত অনুমান ৯.৩০ মিনিটের সময় আমার কন্যা গৌরম্ভা বাজার থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ী আসার পথে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে জনৈক জাহিদের বাড়ীর কাছে পৌছালে আামার কন্যাকে পিছন দিক দিয়ে এসে মুখ চেঁপে ধরে জাহিদের বাড়ীতে কেউ না থাকায় ঐ বাড়ীতে জোর পূর্বক ধর্ষনের করেছে। এ ঘটনায় এলাকার দফাদার বাবরআলী ও চৌকিদার মোস্তফাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে মাহাবুরের সঙ্গে বিবাহ দেওয়ার কথা বলে তার বাড়ীতে ৪ (চার) দিন থাকার পর ঐ বাড়ি থেকে একজন মহিলা আওয়ামীলীগের এক নেত্রীর মাধ্যমে ছাত্রী (কন্যাকে) তার পিতার বাড়ীতে পৌছায়ে দেওয়ার পরে মাহাবুবসহ অন্যান্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন সোহরাব গাজী। এ ঘটনায় কন্যার পরিবার নিরুপায় হয়ে গত ২২/০৯/১৮ ইং তারিখে মাহবুবসহ ৪ (চার) জনের নাম উল্লেখ করে রামপাল থানায় মামলা করার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ছাত্রীর মা নুরজাহান বেগম। এঘটনায় রামপাল থানায় যোগযোগ করা হলে এস, আই বলেন মনিরুল কবির বলেন , অভিযোগকৃত আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যহত আছে। এ বিষয় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ দিকে অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনে যোগযোগ করা হলে তাদের মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
রামপালের গৌরম্ভা এলাকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষনের শিকারে রামপাল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।