নওয়াপাড়ায় অলি গলি দখল করে জম জমাট ব্যবসা

428

শামছুজ্জামান (মন্টু) স্টাফ রিপোর্টার  ঃ

অভয়নগর উপজেলার শিল্প শহর নওয়াপাড়া বাজারের মেইন সড়ক বাইপাস সড়ক নুরবাগ রেল লাইনের দুই পাশ বাজারের অলিগলি ও জন গুরুত্বপূর্ন রাস্তার সিংহভাগ দখল করে বছরের পর বছর জন দূর্ভোগের সৃষ্টি করে চলেছে অসাধু ব্যাবসায়ীরা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পৌরসভা নওয়াপাড়ার ১৫/২০ ফুট পাকা রাস্তা ওলি গলি অধিকাংশ বৃত্তশালীদের উপর পাশের ব্যাবসায়ীরা ৫/৬ ফুট চৌকি পেতে বহাল তবিয়তে ব্যাবসা করে যাচ্ছে। অবশিষ্ট রাস্তা আছে ৫/৬ ফুট যে কারনে জন সাধারনের চলাচলের বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে ভ্যান রিক্সা ও পথ চারির মধ্যে চলে দীর্ঘক্ষন যানজট, মুল্যবান সময় অপচয় হচ্ছে। দেখা গেছে সোনা পট্রি, তাফাল পট্রি, কাপুড়ে পট্রি, গার্মেন্টস পট্রি, চুড়ি পট্রি, হার্ড ওয়ার পট্রি, ভুষি মালের পট্রি কাঁচা বাজারের ১০-১২ টি ওলিগলি বেদখল। যশোর খুলনা রোড থেকে বাজার কালি বাড়ীর দিকে নেমে গেছে ও শংকরপাশা সরকারী হাই স্কুল গেটের গলি তার বিপরীতে খান হার্ড ওয়ারের রাস্তা দক্ষিন কাঁচা বাজার ২০ ফুট রাস্তার ১০ ফুট রাস্তা বেদখল হয়ে আছে দীর্ঘদিন অনুরুপ সুপারী পট্রির রাস্তাও বেদখল। শিল্প শহর নওয়াপাড়ার সবচেয়ে ব্যস্ততম জায়গা নুরবাগ হয়ে হাসপাতাল রোডের দুপাশে চৌকি পেতে বিভিন্ন ব্যাবসা করে যাচ্ছে ব্যাবসায়ীরা। এতে জন ভোগান্তি চরমে পৌছে যায় তা আবার দেখার কেউ নেই। উল্লেখ্য এ ব্যস্ততম এলাকায় প্রতিনিয়ত একটা না একটা দূর্ঘটনা ঘটছেই। শিল্প শহর নওয়াপাড়ার হিসাব নিকাশ কর্তৃপক্ষের কিতাবে বাকলেও সরেজমিনে তার কোন অস্তিত্ব পাওয়া দুষ্কর। ব্যাপারটি এমনিই কাজির গরু কিতাবে আছে কিন্তু গোয়ালে কই ?, বাজারের ত্র্যালমুনিয়াম পট্টিতে এক নারীকে দাড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায় তার কান্নার কারন জানতে চাইলে তিনি শাড়ি দেখিয়ে বলেন গত কয়েকদিন আগে তার স্বামী ২ হাজার টাকায় শাড়িটি তাকে কিনে দিয়েছে। রাস্তার চৌকিতে লটকানো পেরেকে তার শাড়িটি ৮-১০ ইঞ্চি চিরে গেছে। ত্র্যালুমনিয়াম দোকানদারকে রাস্তার চৌকিতে পেরেক লটকানো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে ওই ব্যাবসায়ী উল্টা পেরেকে বেধে ছিড়ে যাওয়া নারীর উদ্দেশ্যে বলেন, দেখে শুনে হাটতে পারেন না ? এমন ধমক দেয়ার স্পর্ধা দেখে পথ চারিরা হত বাক হয়ে যান। এসময় এক পথচারি বলে ফেললেন, রাস্তা দখল করবেন আবার ধমকও দেবেন!। চোরের মার বড় গলা। এভাবে প্রতিনিয়ত পথচারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আসছেন। সুন্দলী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন জনগনের চলাচলের রাস্তা জবরদখল করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ যা অন্যকোন দেশে দেখা যায়না আইন গ্রন্থে আছে কিন্তু পালন করার চর্চা নেই। কর্তৃপক্ষরা জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিয়ে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জবরদখলকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। চৌকি উচ্ছেদ করে উপজেলাও পৌর সভা চত্তরে স্তুপ করে রেখে তা নিলামে বিক্রি করতে হবে।