খুলনার প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিলের প্রকল্প প্রধান মোঃ মজিবর রহমান মল্লিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ব্যাংকে (বুথ) পেমেন্ট না করে নগদ ক্যাশে পরিশোধ করার অভিযোগে বিজেএমসি কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার প্রকল্প প্রধানকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এ ঘটনার ব্যখ্যা দিতে মোঃ মজিবর রহমান মল্লিককে শোকজ করে তলব করাও হয়েছে।
জানা গেছে, প্লাটিনাম জুট মিলে চলতিসহ ৯ সপ্তাহর মজুরি বকেয়া ছিল। গত ১৬ অক্টোবর থেকে সকল বকেয় পরিশোধ করা নির্দেশ দেয় বিজেএমসি। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে মিলের প্রায় ৪ হাজার স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিককে ৮ সপ্তাহর মজুরী প্রদান করা শুরু করে মিল কর্তৃপক্ষ। মিলে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি এককালীন পরিশোধ করার সংবাদ শুনে সিবিএর একটি অংশ শ্রমিকদেরকে নগদ ক্যাশে পরিশোধ করাসহ তিনটি প্রস্তাব চিঠির মাধ্যমে প্রকল্প প্রধানকে জানান। প্রস্তাবগুলির মধ্যে সরকার কর্তৃক ছাড়দেয়া সমুদয় অর্থ শ্রমিক, কর্মচারীদের বকেয়া পরিশোধ ও শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ লোন, শিক্ষা ভাতাসহ অন্যান্য পাওনা দ্রুততার সাথে পরিশোধ করার দাবি জানান। চিঠিতে অভাব অনাটনে থাকা শ্রমিক, কর্মচারীদের সপ্তাহিক মজুরী বেতন বুথের নেটওয়ার্ক স্লো কাজ করায় নগদ ক্যাশে পরিশোধ করার দাবি জানান সিবিএর নেতারা। নগদ ক্যাশে পরিশোধ করা না হলে শ্রমিক অসন্তোষ বা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে সিবিএ নেতারা দায়ী থাকবে না বলে প্রকল্প প্রধানকে জানানো হয়।
এ বিষয়ে প্রকল্প প্রধান মোঃ মজিবর রহমান মল্লিক জানান, প্রায় ৪ হাজার শ্রমিককে ৭ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। সিবিএর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বুথে না দিয়ে নগদ ক্যাশে পরিশাধ করার দাবি জানানো হয়। মিলে তিনটি ব্যাংকিং বুথ আছে। তিনটি বুথে সর্বচ্চ ২৫ লাখ করে ৭৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা যেত। অনেক সময় বুথের মেশিন গরম হয়ে টাকা বের হয় না। খুচরা টাকা আসেনা বুথ থেকে। এক সাথে কয়েক হাজার শ্রমিক বুথে টাকা তুলতে গেলে সমস্যার সৃস্টি হওয়ার সম্ভনা থাকে, এ ছাড়া বুথের পাশেই মন্দিরে পূজা চলছিল, সেখানে এত লোকের সমাগমে ধর্মীয় কাজে বিঘœ যাতে না ঘটে সব কিছু বিবেচনা করে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিককে ৮ সপ্তাহর মজুরী যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি হাতে পায় তাই হাতে, হাতে পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত নেন। অপর দিকে ক্যাশে পরিশাধ করায় সিবিএর একটি অংশ শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা কেটে নিয়েছে অভিযোগ করলে তিনি বলেন, এরকম অভিযোগ শোনার পর তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। মিল অভ্যান্তরে একটি টাকার কেটে রাখেনি। এটি মিলের বাহিরে ঘটেছে। অনেক শ্রমিক কোন নেতার বাসায় যেয়ে টাকা দিয়ে এসেছে বলে তিনি শুনেছেন বলে জানান।