রংপুরে করা এক মানহানির মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এর আগে ব্যারিস্টার মইনুলকে আদালতে হাজির করা হয়।
রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
টেলিভিশন টকশোতে নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে রংপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিলি মায়া বেগম নামে এক নারী মানহানির মামলা করেন তার বিরুদ্ধে।
ওই মামলায় বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি টেলিভিশন ‘একাত্তরে’ টক শোতে মাসুদা ভাট্টি লাইভে যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না?’
মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার একপর্যায়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন।
এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।
এ ঘটনায় ‘তথ্য চেয়ে’ মাসুদা ভাট্টিকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। আর দেশজুড়ে এ পর্যন্ত মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আটটি মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে ২১ অক্টোবর ঢাকায় মাসুদা ভাট্টি নিজে মানহানির একটি মামলা করেন। একই দিন জামালপুর, কুমিল্লা ও কুড়িগ্রামে আরও তিনটি মানহানির মামলা হয়। এ ছাড়া ২২ অক্টোবর ভোলা, রংপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনটি মামলা হয়। মঙ্গলবার একটি মামলা হয়েছে ময়মনসিংহে। সূত্র : বাংলানিউজ