ইন্দোনেশিয়ার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার

443

ইন্দোনেশিয়ার ১৮৯ জন মানুষ নিয়ে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির উপকূল থেকে লায়ন এয়ার জেটি–৬১০ উড়োজাহাজটির ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।

স্থানীয় সময় গত সোমবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে জাকার্তা ছেড়ে যায় জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি। এক ঘণ্টার মধ্যে পাংকাল পিনাংয়ের দেপাতি আমির বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল ফ্লাইটটির। ওড়ার ১৩ মিনিটের মধ্যে কন্ট্রোল প্যানেলের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ফ্লাইটটির। শেষ মুহূর্তে পাইলটকে জাকার্তার সুকর্ন হাত্তা বিমানবন্দরে ফিরে আসতে বলা হয়। বিমানটিকে সর্বশেষ সাগর পাড়ি দিতে দেখা যায়। বিমানটিতে তিন শিশুসহ ১৮১ জন যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া দুজন পাইলট ও ছয়জন কেবিন ক্রু ছিলেন।

বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি জাভা সমুদ্রে ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত কাউকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের কাঠামোও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিশ্চিত করা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কারিগরি ত্রুটির কারণেই এ ঘটনা ঘটে।

ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারে অংশ নেওয়া এক ডুবুরি বলেছেন, ‘উদ্ধার অভিযান চলছে। আমরা সমুদ্রের নিচে খুঁড়ে ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করেছি।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে হেনড্রা নামের ওই ডুবুরি বলেন, সমুদ্রের তলায় আবর্জনার নিচে চাপা পড়ে ছিল বক্সটি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এটি ডেটা রেকর্ডার। এর বাইরে আরেকটি ব্ল্যাকবক্স আছে, যাতে দুই চালকের মধ্যে কথোপকথন রেকর্ড থাকে। তাঁরা তা খুঁজছেন।

ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার হওয়ার ফলে উড়োজাহাজে কী ধরনের সমস্যা ছিল, তা বের করতে পারবেন প্রকৌশলীরা। ব্ল্যাকবক্স থেকে তথ্য উদ্ধারে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগবে বলে মনে করছে ইন্দোনেশিয়ার ট্রান্সপোর্ট সেফটি কমিটি।

উড়োজাহাজে ইন্দোনেশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০ জন কর্মচারী ছিলেন। তাঁরা পাংকাল পিনাংয়ের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। জাকার্তা থেকে তাঁরা ফিরছিলেন।