বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর
তরিকুল ইসলামের শ্যালক আবুল বাশার সাইফুদৌলা বলেন, সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কিনডীসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। কিছুদিন আগে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
তরিকুল ইসলামের মরদেহ নিজ জেলা যশোরে নেওয়া হবে। সেখানেই তাঁকে দাফন করা হবে।
তরিকুল ইসলামের মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক প্রকাশ করেছেন।
অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে লাশ আজ রাতে তরিকুল ইসলামের শান্তিনগরের বাসায় নেওয়া হবে। কাল দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং যশোরে জানাজা হবে। এরপর লাশ যশোরে দাফন করা হবে।
তরিকুল ইসলামের জন্ম যশোরে। তাঁর বাবা আবদুল আজিজ ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তরিকুল ইসলাম স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
তরিকুল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্র জীবন থেকেই বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তরিকুল ইসলাম। স্বাধীনতার পরও বাম রাজনীতির সঙ্গেই ছিলেন। তবে জিয়াউর রহমানের ডাকে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। তরিকুল ইসলাম ১৯৯১ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তিনি সমাজকল্যাণ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রথমে তথ্য এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।