নির্বাচনকালীন সরকার, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৭ দফা নিয়ে আরও আলোচনা চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা সংলাপে এমন প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
এদিকে ঐক্যফ্রন্টের এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সংলাপ শেষে ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, ভবিষ্যতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হতে পারে।
সংলাপ শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা আন্দোলনে আছি। কাল রাজশাহীতে সমাবেশ হবে। সংলাপ আমাদের আন্দোলনেরই অংশ। যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত। সরকার যদি তা না চায়, তার দায়ভার তাদের। আমরা আমাদের দাবিগুলো নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংলাপ শেষে বুধবার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সরকারের কাছে তাঁরা আরও আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। আলোচনা অব্যাহত থাকবে। আলোচনা ফলপ্রসূ কি না, সেটা জনগণই ঠিক করবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আইনিভাবে তা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থা হোক, সেটাই আমরা চাচ্ছি।’
এ দিকে বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণার তারিখ পেছানোর কথা বলেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘সংবিধানসম্মতভাবে আমরা তফসিল ঘোষণার তারিখ পেছানোর কথা বলেছি।’