শামছুজ্জামান মন্টু স্টাফ রিপোর্টার ঃ
যশোরের অভয়নগরের একতারপুর গ্রামের মফিজুর মল্লিকে ছোট ছেলে শিশু হাসিব মল্লিক হত্যা মামলায় আটক কাশেম ও মুস্তাকিন আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গৌতম মল্লিক আসামিদের এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। কাশেম ও মুস্তাকিন একতারপুর গ্রামের মৃত খোকন মোড়ল ও সামছুর রহমানের ছেলে। হাসিব সুপারি চুরির কথা জানিয়ে দিবে বলে তারা তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছে। জবানবন্দিতে কাশেম ও মুস্তাকিন জানিয়েছে গত ৩ নভেম্বর বিকেলে শিশু হাসিব ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে যায় মাঠে। মাঠের পাশে একটি সুপারি বাগান থেকে চুরি করে সুপারি পাড়ছিল কাশেম ও মুস্তাকিন। হাসিব বাগানে এসে তাদের জানায় সুপারি চুরির কথা সকলকে বলে দিবে। এ সময় তারা গাছ থেকে নেমে হাসিবকে ধরে নিয়ে আসে। তারা দু’জন হাসিবের হাত ও মুখ বেঁধে একটি ঘরে আটক রাখে। সন্ধ্যার আগে ঘরের মধ্যে হাসিবকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরে গলা কেটে হত্যার পর লাশ পাশের গর্তে ফেলে দিয়ে বাড়ি চলে যায় বলে জানিয়েছে। এদিকে হাসিবকে খুঁজে না পেয়ে স্বজনেরা গ্রামে মাইকিং করে। তারপরও তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় স্বজনেরা। পরদিন সকালে বাগানে সুপারি কুড়াতে গিয়ে এক মহিলা পাশের মেহগনি বাগানে হাসিবের লাশ দেখে সকলকে জানায়। এ ব্যাপারে নিহতের চাচা সোহাগ মল্লিক বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে অভয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সৈয়দ আজাদ আলী হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে কাশেম ও মুস্তাকিনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। আটক দু’জন হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে।