কোন কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে আইপিও অনুমোদনের আগ মুহূর্তেও তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন।
‘আইপিও অনুমোদন পাওয়া কোম্পানির কাছে চাদাঁ না পেয়ে একটি গ্রুপ আদালতে রিট করে’ তথ্য দিয়ে এদেরকে প্রতিহত করতে সাংবাদিকদের সহায়তা চান খায়রুল হোসেন।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে বিনিয়োগ শিক্ষা বিষয়ক এক কর্মশালায় এ সব কথা বলেন তিনি।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম-সিএমজেএফ এ কর্মশালার আয়েজন করে।
‘ওয়ার্কশপ অন ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি ফর জার্নালিস্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির পরিচালক রেজাউল করিম।
খায়রুল হোসেন বলেন, আইপিওতে সঠিক দর পাওয়া যায় না বলে দীর্ঘদিন ধরে উদ্যোক্তাদের অভিযোগ ছিল। যার আলোকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে দর নির্ধারন করে।
“কিন্তু এরমধ্যেও কোম্পানি ও যোগ্য বিনিয়োগকারীরা যোগসাজোশ করতে শুরু করে। যা প্রতিরোধে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ শেয়ারে দর প্রস্তাব করার সংশোধনী করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বিনিয়োগ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল জ্ঞানভান্ডার তৈরী করা। যাতে বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজির সংরক্ষণ এবং মুনাফা করতে পারে। যাতে বিনিয়োগকারীরা নিজেই শেয়ার বেচা-কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।”
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুজিবাজারে যেসব কোম্পানি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসছে সেগুলো কাট-অফ প্রাইস নির্ধারনে কোনো ধরনের যোগসাজশ হচ্ছে-কি না তা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হলে বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবে।“বুক বিল্ডিং পদ্ধতির মাধ্যমে বাজারে আসতে একটি কোম্পানি রোড শো আয়োজন করে। সেখানে কোম্পানির ইতিহাস, ইপিএস, এনএভি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
“এছাড়া কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে ইলিজেবল ইনভেস্টররা দর প্রস্তাব করে। তারপরও বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে যদি তারা প্রাইস নির্ধারণে কোনো যোগসাজশ করে তাহলে কমিশনের কোনো কিছু করার থাকে না। তবে প্রাইস কোডিংয়ে কোনো অনিয়ম হলে তা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবে।”
‘প্রাইস নির্ধারণের বিষয়ে আগে অভিযোগ উঠায় কোডিংয়ের বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে ইলিজেবল ইনভেস্টরদের নিয়ে অ্যাওয়ারনেসের আয়োজন করা হবে।”
আইপিও অনুমোদন সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, কমিশনের অনেক শর্ত পূরণ করার পর কোনো কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। কমিশনের পক্ষে ওই কোম্পানিকে ইনভেস্টিগেট করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংক, অডিটরস ফার্ম দায়িত্ব পালন করে থাকে।
“তবে আইপিও অনুমোদন দেওয়ার যদি ওই কোম্পানি সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ কোনো রিপোর্ট গণমাধ্যমে আসে তাহলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে কমিশন।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো কোম্পানির আইপিওর সাবস্ক্রিপশনের পূর্বে ওই কোম্পানির কোনো সমস্যা থাকলে বিস্তারিত লেখার চেস্টা করবেন। এতে বিনিয়োগকারীরা রক্ষা পাবে। একই সঙ্গে কোম্পানির বিরুদ্ধে কমিশন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে।”