খিজির হায়াত খান প্রযোজনায় তৃতীয় ছবি আনছেন । ছবির নাম মিস্টার বাংলাদেশ। এই ছবির নায়কও তিনি। ছবির বিষয় জঙ্গিবাদ।এ অভিনেতা ও প্রযোজক বলেন, ‘হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় আমার বন্ধু ইসরাত আখন্দ নিহত হয়েছেন। বন্ধুর মৃত্যুর পরপরই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করার আগ্রহ তৈরি হয়। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মানসিক তাড়না থেকেই কাজটি করেছি।’
প্রথম ছবি ছিল বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের জীবন নিয়ে। ২০০৭ সালে মুক্তি পায় অস্তিত্বে আমার দেশ। দ্বিতীয় ছবিটি খেলা নিয়ে, জাগো। মুক্তি পায় ২০১০-এ। তৃতীয় ছবি মিস্টার বাংলাদেশ-এ এবার তিনি অভিনেতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন। তা–ও একটি নয়, দুটি চরিত্রে। ছবির প্রথম ভাগে তিনি ‘সাফায়েত’, শেষ ভাগে ‘ইব্রাহিম’।
খিজির হায়াত বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী দেশের তরুণদের ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে দলে টানছে। তাদের জঙ্গিবাদের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মিস্টার বাংলাদেশ ছবিটি। এই ছবিতে জঙ্গিবাদের উত্থান ও দমন—দুই-ই দেখানো হয়েছে।’
এই ছবিটি নির্মাণ করতে গিয়ে কয়েকবার একটি গোষ্ঠী থেকে মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন, বললেন খিজির হায়াত। বিষয়টি তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছেন। মিস্টার বাংলাদেশ নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানালেন এই প্রযোজক, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছি। আশা করব, দর্শকেরাও দায়িত্ববোধ নিয়ে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে দেখতে যাবেন।’
ছবিটিতে খিজির হায়াতের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সাবেক লাক্স তারকা সানারেই দেবী সানু। পরিচালনা করেছেন আবু আক্তারুল ইমান। এতে আরও অভিনয় করেছেন টাইগার রবি, শামীম হাসান সরকার, সোলায়মান সুখন, ম্যারিয়েল পেলেগ্রীন।
সানুকে দেখা যাবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একজন মানবাধিকার চিকিৎসক হিসেবে। সানু বলেন, ‘জঙ্গিবাদবিরোধী গল্প নিয়ে বাণিজ্যিক এই ছবি আমরা সবাই নিজের দায়িত্ববোধ থেকে করেছি।’ তিনি বলেন, ‘শুটিংয়ের দিনগুলোতে অনেক শঙ্কা নিয়ে কাজ করতে হয়েছে।’
মিস্টার বাংলাদেশ-এর শুটিং হয়েছে ঢাকা, মধুপুর জঙ্গল, টেকনাফ, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। গত বছরের ৭ নভেম্বর শুটিং শুরু হয়। আর মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল, ১৬ নভেম্বর।