২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কান দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন বন্ধ করে দেয়া হয়। দীর্ঘ নয় বছর ধরে বড় কোনও টুর্নামেন্ট আয়োজন হয়নি পাকিস্তানে। এরপর যদিও ২০১৫ সাল থেকে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরও বাকি দেশগুলোর ভয় কাটেনি পাকিস্তান যেতে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলকেও। পরে অবশ্য বাংলাদেশ নারী দল খেলতে গিয়েছিল পাকিস্তানে।এবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ইমার্জিং কাপের এবারের আসর। গতবারের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশে।এখনও পূর্ণাঙ্গ সূচী প্রকাশ না হলেও বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বের খেলাগুলো হবে পাকিস্তানে।পাকিস্তানে যাওয়াটা সব সময়ই ভাবনার বিষয়। কেন না, ক্রিকেটের জন্য এখনও নিরাপদ বলে স্বীকৃতি পাওয়া হয়নি দেশটির। ব্যপারটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও ভাবাচ্ছে।এ নিয়ে আজ সোমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।তিনি বলেন, ইমার্জিং কাপে আমাদের দল অংশগ্রহণ করবে। আমাদের প্রথম রাউন্ডের খেলা পাকিস্তানে আয়োজন করা হয়েছে। ইমার্জিং কাপ মূলত ২টি দেশে হচ্ছে এবার। স্বাগতিক দেশ হিসেবে একটি পাকিস্তান ও অন্যটি শ্রীলঙ্কা। আমাদের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো পাকিস্তানে পড়েছে। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে যাবে।