চালু হচ্ছে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ পদক

347

মানবাধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা, বয়স্ক ও বিধবাদের কল্যাণ, সুবিধাবঞ্চিতদের আইনি সহায়তা প্রদানসহ পাঁচটি খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিবছর পাঁচ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মাদার অব হিউম্যানিটি পদকে ভূষিত করা হবে। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার  বৈঠকে এমন পুরস্কারের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।  বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধিটি পান। এ কারণেই এই নামে পদকটির প্রবর্তন করা হলো। পদকে থাকবে ১৮ ক্যারেটের ২৫ গ্রাম ওজনের সোনার পদক, দুই লাখ টাকা, ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ রেপ্লিকা, সমাজ কল্যাণ সম্মাননা সনদ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রতিবছর জুলাইয়ে যাচাই-বাছাই শুরু হয়ে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে পরবর্তী বছরের শুরুতে ২ জানুয়ারি এই পদক ঘোষণা দেওয়া হবে। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে পৃথক দু’টি কমিটি থাকবে। চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান হবেন একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী।স্বাধীনতা পদকসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদকগুলোর মানের মতোই এ পদকের মান হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বৈঠকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বাস্তবায়নাধীন জাতীয় তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় পর্যায় এবং প্রথম সংশোধিত প্রকল্প শীর্ষক) প্রকল্প, ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন, ইন্টারনেট অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ,  রেভিনিউ  শেয়ারিং সংক্রান্ত প্রকল্প জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে  ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
এছাড়া আজকের মন্ত্রিসভায় বৈঠকে বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহরিয়ার শহীদের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল একটি আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ায় মন্ত্রিসভা তাঁকে অভিনন্দন জানায়