আজ বুধবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। হিজরি সনের ১২ রবিউল আউয়াল। এইদিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস। আজ সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যদা ও ভাবগাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজান করেছে।
১ হাজার ৪৪৮ বছর আগের এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আবার এই দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
আরববিশ্ব যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন মহান আল্লাহ পাক মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন।
এরপর বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও শান্তির পথে আহ্বান জানান। সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি। এরপর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) দীর্ঘ ২৩ বছর এ বার্তা প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২০ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে পক্ষকালব্যাপী নানা আয়োজন শুরু করেছে। মঙ্গলবার রাতে এশার নামাজের পর ওয়াজ করছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র ইমাম মুফতী মাওলানা মিজানুর রহমান ও ঢাকার মদীনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুর রাজ্জাক আল আযহারী।
২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বাদ মাগরিব থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব সাহানে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। দেশবরেণ্য পির-মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরাম মাহফিলে বয়ান করবেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৪টি জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্র, ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ও ৫৫০টি উপজেলা/জোন মডেল রিসোর্স সেন্টারে র্যালি, সবিনা খতম, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল, মহানবী (সা) এর জীবনীর ওপর সেমিনার/আলোচনা সভা এবং স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দিবসটি নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।