গায়েবি মামলা ও গ্রেফতার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আগাম তথ্য সংগ্রহ নিয়ে বিএনপির অভিযোগের মধ্যে নিরপরাধীকে কোনো ধরনের হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।
সভায় পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহ করার কথা আমরা বলিনি। এটি আপনারা করবেন না। কারণ এটি নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। যারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা তারা বিব্রত হন। আমরা এটি চাই না।
তিনি বলেন, কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করবেন না। মামলা করবেন না। কাউকে হয়রানিমূলক মামলা বা গ্রেফতার করা যাবে না। আশা করি আপনারা এটি করছেনও না।
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সিইসি আরও বলেন, যেন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন।
‘প্রজাতন্ত্রের সবাই মিলে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কাজ করব। নির্বাচনের সিংহভাগ দায়িত্ব পুলিশের থাকে। ভোটারের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাদের ওপরই বেশি থাকে।’
নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন সিইসি।
তিনি বলেন, ঐতিহ্যগতভাবেই এ দায়িত্বও আপনাদের। এবারও দেশের বৃহত্তম স্বার্থে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন।
‘সংবিধান মতে কর্তৃত্ব নয়, বিবেক মতে কাজ করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের সবাই নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করবে। আমরা কারও ওপর কর্তৃত্ব করব না। নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তার বিষয়ে সংবিধানে যেমন বলা আছে।’
নির্বিঘ্ন দায়িত্ব পালনে পুলিশ সদস্যদের আশ্বস্ত করে নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচন যেন কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনে আমরা পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, তবে কমিশন আপনাদের কর্মকাণ্ড নজরদারি করবে। অলরেডি অভিযোগ আসা শুরু করেছে। তবে নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করবেন। ভালোভাবে যাচাই না করে আপনাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। এতে আপনাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন পর্যায়ের তথ্য একমাত্র পুলিশেরই আছে। তাই বিভিন্ন বাহিনী পুলিশের কাছ থেকেই পরামর্শ নেবে। পুলিশকে এখনই কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইজিপি, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।