নিপুণ রায় সহ ১৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

385

রাজধানীর নয়পল্টনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের মামলায় দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ১৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে আব্দুস সামাদ আপেল জমাদার নামের এক আসামির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত।

বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা, ইউনুস মৃধা, আবুল হাশিম সবুজ, মামুন অর রশিদ, আমির হোসেন, মো. মহসিন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রবিন, ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন উজ্জল, ছাত্রদলের তিতুমীর কলেজ শাখার সহসভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, মাহফুজুল ইসলাম ও আয়ন আহম্মেদ শান্ত।

এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কামরুল ইসলাম আসামি নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ১৩ জনকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না পওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আর অপর আসামি আপেল জমাদারের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

অপরদিকে নিপুণ রায় চৌধুরীর অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, খোরশেদ মিয়া আলম, মহি উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ আইনজীবী ১৩ আসামির জামিন আবেদন করেন। আর আপেল জমাদারের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১৩ আসামির জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দেন এবং আপেল জমাদারের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্র জানায়, আসামি নিপুণ রায় চৌধুরীসহ কারাগারে যাওয়া ১১ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড শেষে এদিন আদালতে হাজির করা হয়।

অপরদিকে একই মামলায় আপেল মজাদার, মাহফুজুল ইসলাম ও শান্তকে গ্রেফতার করে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আপেল জমাদারের রিমান্ড আবেদন করলেও অপর দুই আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা।

গত ১৫ নভেম্বর রাজধানীর পল্টনের নাইটিঙ্গেল মোড়ে নিপুণ রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। ১৪ নভেম্বর দুপুরে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপভ্যানসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

এতে পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তা, দুজন আনসার সদস্যসহ ২৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। ওই ঘটনায় বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় ওই তিন মামলা দায়ের করে।