যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন নিতে ঢাকায় গিয়ে শেষ পর্যন্ত লাশ হয়ে ফিরলেন যশোর জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও কেশবপুরের বিএনপির নেতা আবু বকর আবু (৭০)। আজ দুপুরে তার মরদেহ ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালের মর্গ থেকে কেশবপুর পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। দু’দফা নামাজে জানাজা শেষে বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে এই হত্যাকান্ড নিয়ে সৃষ্ট ধুম্রজাল ক্রমশ ঘনিভূত হচ্ছে। কি কারণে, কেন এই হত্যাকান্ড? কারা এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত? এই হত্যার পেছনে কাদের হাত রয়েছে? কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে? অপহরণকারীরা দু’দফায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেওয়ার পরও কেন আবুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলো না? এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর ভূমিকায় বা কি ছিল? ইত্যাদি হাজারো প্রশ্নের উত্তর মেলাতে পারছেন না স্বজনরা।
স্বজনরা জানান, গত ১৮ই নভেম্বর রোববার রাত ৮টার পর রাজধানীর পল্টন এলাকার একটি আবাসিক হোটেল এলাকা থেকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বিএনপি নেতা আবু বকর আবুকে অপহরণ করে। দু’দিন পর ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশ প্রথম অবস্থায় লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে না পেরে লাশের ছবিসহ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়। সেই ছবি দেখে পরিবারের সদস্যরা আবুকে শনাক্ত করেন