খুলনা ২ আসনে লড়াই হবে জুয়েল বনাম মন্জু

545

মো: আলামিন  খাঁন, সিআইএন ডেক্স :

আসন্ন একাদশ জাতীয় নিবাচনে যে ছয়টি আসন ইলেকট্রনিক ভোটিং সিষ্টেম ই ভি এম এর আওতাভুক্ত করেছে নিবাচন কমিশন, তার মধ্য খুলনা ২ আসন অন্যতম। বাংলাদেশে এর আগে স্থানীয়  পর্যায়ে নিবাচনে ইভিএম ব্যবহার করেছে। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারই প্রথম ইভিএম ব্যবহার করতে যাচ্ছে নির্বাচন   কমিশন। খুলনা সিটি কপোরেশনের সোনাডাঙ্গা ৭টি ও সদর ৯ টি ওয়াড মিলে খুলনা ২ নির্বাচনী আসন। খুলনা ৬ আসনের সবগুলো কেন্দ্রই থাকবে ইলেকট্রনিক ভোটিং ব্যাবস্থা বা ইভিএম ব্যবস্থা। এবারের খুলনা ২ আসনে সবোমোট ভোট কেন্দ্রর সংখ্যা ১৫৭। ইলেকট্রনিক ভোটিং এর মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করে পছন্দের প্রাথী নিবাচন করবেন

সব মিলিয়ে খুলনা ২ আসনে ১৫৭ টি ভোট কেন্দ্র ইভিএম পদ্ধতিতে ৬৫৩ টি কক্ষে চলবে ইভিএম ভোটিং ব্যবস্থা। খুলনা ২ আসনে ইভিএম এর আওতাভুক্ত ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ্য ৯৪ হাজার ৬২ জন। এর মধ্য পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ্য ৪৬ হাজার ৮৮৯ এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ্য৪৭ হাজার ৩৭৩ জন। দক্ষিনা অঙ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন খুলনা ২ সদর ও সোনাডাঙ্গা এই আসনে একমাত্র প্রাথী হিসাবে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রাথী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুএ,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। অন্যদিকে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি একমাত্র প্রাথী হিসাবে মনোনয়ন পেয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্জু। তাই জনমত বলছে এই আসনে লড়াই হবে সমানে সমান।

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ বারী। বিগত দিনে এ আসনে বিএনপিরই প্রাধান্য দেখা গেছে। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে শেখ রাজ্জাক আলী বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিজয়ী হন এ আসনটিতে।

পরে তার ছেড়ে দেয়া আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আসগর লবী। তারপর নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে পরাজিত করেছিলেন এক হাজার ৬৭০ ভোটের ব্যবধানে। ওই নির্বাচনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছিলেন ৯০ হাজার ৯৫০ ভোট আর মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান পান ৮৯ হাজার ২৮০ ভোট।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করেনি। ফলে জাতীয় পার্টি-জেপির তৎকালীন নগর সভাপতি রাশিদা করিমকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান। এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি তিনি।