ফকিরহাট থানা প্রতিনিধি :
বাগেরহাটে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী রিক্তা বেগমকে হত্যার অভিযোগে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্বামীসহ ৪ জনের নামে উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত ফকিরহাট মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নিহত রিক্তার পিতা ও মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালে ফকিরহাট উপজেলার কাকডাংগা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে রিক্তার সাথে বিজিবি সদস্য সরদার গিয়াস উদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় গিয়াসকে স্বর্ণ অলংকারসহ ২ লক্ষ টাকার প্রয়োজনীয় মালামাল দেন রিক্তার বাবা। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন ভাবে যৌতুকের দাবিতে রিক্তার উপর নির্যাতন চালাতো গিয়াস ও তার আত্মীয় স্বজনরা। এর ধারাবাহিকতায় ১৭ নভেম্বর রাতে বাড়ি ফিরে গিয়াস রিক্তাকে মারধর করে। আছলাম শেখ রিক্তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে গলা চেপে ধরে রিক্তার মুখে বিষ ঢেলে দেয় গিয়াস উদ্দিন। রিক্তার পরিবারের লোকেরা খবর পেয়ে রিক্তাকে প্রথমে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে খুলনা নার্গিস মেমোরিয়াল ক্লিনিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজে এবং গাজী মেডিকেলে চিকিৎসা করান। তার অবস্থার আরও অবনতি হলে, উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০ নভেম্বর রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে যাওয়ার পথে রিক্তা মারা যায়। পরে ফকিরহাট থানায় সুরতহাল শেষে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পূর্ন হয় রিক্তার।
এঘটনায় রিক্তার পিতা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন । আসামীরা হল, বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাবুল সরদারের ছেলে সরদার গিয়াস উদ্দিন, গিয়াসের মাতা হাসিনা বেগম, দাউদ সরদারের ছেলে আব্দুল্লাহ সরদার ও একই উপজেলার গোয়ালখালী গ্রামের ইয়াকুবের ছেলে আছলাম শেখ।
রিক্তার বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমি ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। উক্ত আসামীদের গ্রেপতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।