মনিরামপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী অন্তসত্ত্বা , ধর্ষন মামলা থেকে রক্ষা পেতে বিয়ে

505

 স্টাফ রিপোর্টার

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নের কুচলিয়া গ্রামের শুসেন বিশ্বাসের ৬ষ্ঠ শ্রেনী পড়–য়া শিশু কন্যা পূজা বিশ্বাসকে সাত মাসের অন্ত:সত্ত্বা করেছে উপজেলার দুহাকুলা গ্রামের গোবিন্দ মন্ডলের লম্পট পুত্র সোহাগ মন্ডল। জানা গেছে কুচলিয়া গ্রামের শুসেন বিশ্বাসের স্কুল পড়–য়া শিশু কন্যাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলে দিনের পর দিন ধর্ষন করে সাত মাসের অন্ত:সত্ত্বা করেছে। ঘটনা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর ধর্ষন মামলা থেকে রেহাই পেতে দুহাকুলা গ্রামের এক শালিসি সভার মাধ্যমে ঐ শিশু কন্যাকে বিয়ে করেছে লম্পট সোহাগ। ঘটনাটি শিকার করে ধর্ষক সোহাগ মন্ডল জানায় গত ৮-৯ মাস পূর্বে হরিদাসকাটি ইউনিয়নের শাহমান্দার তলার একটি অনুষ্ঠানে ঐ মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে মেয়েটিকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। অন্ত:সত্ত্বা হওয়া ক্ষতিগ্রস্থ স্কুল পড়–য়া ছাত্রী জানায় তার মামা বাড়ি দুহাকুলা গ্রামে বেড়াতে গেলে সোহাগ মন্ডল তাকে ডেকে নিয়ে অনৈতিক কাজ করে। মেয়ে ঘটনাটি তার পরিবারের লোকদের জানিয়ে দিতে চাইলে সোহাগ তাকে বিয়ে সহ নানা ধরনের প্রলোভন দেখায়। তারপর থেকে সে মেয়েটিকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দিনের পর দিন অনৈতিক কাজ করেছে। এক পর্যায়ে সে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি কয়েক মাস পার হওয়ার পর তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন স্থানে নিয়েও তা সম্ভবপর হয়নি। ঘটনাটি প্রথমে জানাজানি হয় গ্রামবাসির মধ্য। এ নিয়ে গত সপ্তাহ খানেক পূর্বে উপজেলার দুহাকুলা গ্রামে একটি ক্লাবঘরে শালিসি সভায় সিদ্ধান্ত হয় ধর্ষণ মামলা হতে আপাতত রেহাই পেতে ঐ মেয়ের সাথে সোহাগকে বিয়ে দিতে হবে। সে বিষয়ে সোহাগ সহ তার পরিবারের লোকজন রাজি না হলেও পরে ঘটনা বেগতিক দেখে বিয়ে করতে রাজি হয়। গত ২৪ নভেম্বর ঐ এলাকার পুরোহিত তিমির মুখার্জীর মাধ্যমে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকার অধিকাংশ ব্যক্তিরা বলেন, আপাতত সোহাগকে ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অন্ত:সত্ত্বা হওয়া মেয়েটির সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার নেবুগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন মল্লিক জানান অন্ত:সত্ত্বা হওয়া ঐ মেয়েটি তার স্কুলের ষষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী। এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন বিষয়টি খুবই খারাপ। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মনিরামপুর থানা ওসি (তদন্ত) এস.এম এনামুল হক বলেন ঐ স্কুল ছাত্রী সাত মাসের অন্ত:ত্ত্বা বিধায় তাদের বিয়ে আইনগত ভাবে সঠিক হয়নি।