উইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয় : বিশ্ব রেকর্ড উপহার

400

স্পোটস্ ডেক্স :

নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবার ইনিংস ব্যবধানে জয়ের কীর্তি গড়লো বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নিশ্চিত করে সাকিব আল হাসানের দল। এর মধ্য দিয়ে গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ২-০ তে টেস্ট সিরিজ হারের মধুর প্রতিশোধ নিল টাইগাররা। ৬৪ রানে জেতা চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকা টেস্টও শেষ হলো তিন দিনেই। ফলোঅনে পড়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৩ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ৯২ বলে ৯৩ রান করে আউট হন শিমরন হেটমায়ার। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লংঅনে মোহাম্মদ মিঠুনের তালুবন্দি হন এই তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১ চারের বিপরীতে ৯টি ছক্কা মারেন হেটমায়ার।

৪২ রানের দশম উইকেট জুটিতে হারের ব্যবধান কমান দুই পেসার কেমার রোচ (৩৭) ও শেমরন লুইস (২০*)। বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসেও পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন অফস্পিনার মিরাজ। তিন উইকেট পান তাইজুল ইসলাম। একটি করে নেন সাকিব ও নাঈম হাসান। অন্যটি নেন নাইম হাসান। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১২ উইকেটের (৭ ও ৫) নৈপুণ্য দেখান হাসান মিরাজ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ৫০৮ রানের জবাবে ৩৬.৪ ওভারে ১১১ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়দের প্রথম ইনিংস। যা টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বনি¤œ স্কোর। আর নিজেদের ১১২তম টেস্টে এসে প্রথমবার প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে ফেলার স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। আজ তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ৯ উইকেটের পতন ঘটে। ৭৫/৫ সংগ্রহ নিয়ে ব্যাটিং শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস টেকে ১২.৪ ওভার। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন শিমরন হেটমায়ার। ৩৭ রান করেন শেন ডউরিচ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ইনিংসে ৭ উইকেটের ভেলকি দেখান মিরাজ। বাকি তিন উইকেট পান সাকিব। আর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ ওভারে ৪৬/৪ সংগ্রহ নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেও ক্যারিবীয় অধিনায়ককে ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে ফিরিয়ে উইকেটের সূচনা করেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে রান পাহাড়ে তোলেন সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মিরপুরে টানা দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ব্যক্তিগত ১৩৬ রানে থামেন মাহমুদুল্লাহ। টেস্টে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি থেকে ২০ রান দূরে থাকতে আউট হন সাকিব (২০)। অর্ধশতক করেন হঠাৎ টেস্ট দলে ডাক পাওয়া লিটন দাস (৫৪)। আর অভিষেকেই ওপেনিংয়ে নেমে ৭৬ রানের (১৯৯ বল) ধৈর্যশীল ইনিংসে নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দেন সাদমান ইসলাম।