তিন আসনেই খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল

397

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন আসনেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

এর আগে সকালে একই কারণে ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদ-উজ জামান।

জেলা রিটার্নিং অফিসসূত্র জানায়, বগুড়ার সাতটি আসনে মনোনয়ন বাছাইয়ে আলোচিত সংসদ সদস্য প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমসহ ১৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জাল, উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করা ও ঋণখেলাপির কারণে তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী টিপু সুলতান ও আবদুল মান্নান মিয়ার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম ফকির ও মোস্তাফিজার রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মহিত তালুকদার এবং ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী তাজউদ্দিন মণ্ডল ও আবদুল মজিদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

তবে এ আসনে আবদুল মহিত তালুকদারের বড় ভাই আলোচিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বিএনপির সাবেক এমপি বিএনপি প্রার্থী আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা ও তার স্ত্রী বিএনপি প্রার্থী মাসুদা মোমিনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামাল উদ্দিন কবিরাজ ও এএনএম আহছানুল হক, কাহালু উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা তায়েব আলী, দলের নিবন্ধন না থাকায় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের অধ্যাপক জাহিদুর রহমান এবং ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সঠিক না থাকায় আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম ও ইউনুস আলী মণ্ডলের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা আলহাজ দবিবর রহমান, সিটি ব্যাংকে ঋণখেলাপি থাকায় বিকল্পধারার মাহবুব আলী ও ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সঠিক না হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেত্রী তাহমিনা জামান হিমিকার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।