তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তুরস্কের কাছে হস্তান্তরের দাবি করেছেন।
আর্জেন্টিনায় শুরু হওয়া জি-২০ সম্মেলনের শেষের দিন গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান এই দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, জি-২০ সম্মেলনে একমাত্র কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ছাড়া আর কেউ খাসোগি হত্যার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, খাসোগি হত্যায় সৌদি আরব ১১ জন নাগরিককে অভিযুক্ত করেছে। তবে তাঁদের তুরস্কে পাঠানোর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেই সৌদি আরবের। খাসোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত থাকার কথাও অস্বীকার করেছে সৌদি আরব।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ব্যাপারে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অস্বীকার করেছেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড যুবরাজ মোহাম্মদের অনুমতি ছাড়া সম্ভব না বলে মনে করে তারা।
এর মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সিএনএনকে বলেছেন, এ হত্যার ব্যাপারে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সব কটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন দেখেছেন এবং সেখানে হত্যার সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদের সরাসরি জড়িত থাকার কোনো তথ্য নেই।
এরদোয়ান অভিযোগ করেন, খাসোগি হত্যার ব্যাপারে সৌদি কর্তৃপক্ষ অসংগতিপূর্ণ ও মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে এবং তুরস্কের তদন্তকারী দলকে কোনো তথ্য দিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনায় জি-২০ সম্মেলনে যুবরাজ মোহাম্মদ বিশ্বনেতাদের কাছে ‘অবিশ্বাস্য ব্যাখ্যা’ তুলে ধরেছেন এবং যুক্তি দেখিয়েছেন যে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সৌদি আরবকে দোষারোপ করা যায় না।
এরদোয়ান আরও বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড পুরো বিশ্বের জন্য একটি পরীক্ষা। তবে সৌদির রাজপরিবারের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছে নেই তাঁর। বরং এই হত্যার সমাধান আখেরে সৌদি রাজপরিবারের স্বার্থই রক্ষা করতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, খাসোগি হত্যার সাড়ে সাত মিনিটের রেকর্ড রয়েছে তাঁদের কাছে। যেসব দেশ চেয়েছে, তাদের তুরস্ক সেই রেকর্ড দিয়েছে।