মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এখানে সরকার জড়িত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, উই হ্যাভ নাথিং টু ডু। আমাদের কিছু করার নেই। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আজ তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের আইনে আছে মনোনয়নপত্র বাতিল করার।
সরকার কোনোভাবেই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। যদি তাই হতো, তাহলে কি আমরা আমাদের সবচেয়ে বড় শরিক দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব বাদ পড়বেন, এটা কি আমরা চাইবো? খালেদা জিয়ার বিষয়টি তো আদালত আগেই সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছে। দুই বছরের বেশি যারা কারাদন্ডে দন্ডিত, তারা নির্বাচন করতে পারবেন না।
এটা উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, উই হ্যাভ নাথিং টু ডু উইথ দ্যাট। আমাদেরও তো অনেকে বাদ গেছে, সেখানে আমাদের কি করার আছে? মনোনয়ন পত্র যেসব কারণে বাতিল হয়, সেগুলো তো নির্বাচন কমিশন সবসময় আমলে নেয়। নতুন করে তো কোনও আইন করা হয়নি।
বিএনপির অভিযোগ আওয়ামী লীগের জয়ের পথ প্রশস্ত করতে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মওদুদ সাহেব। খুব বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকে জানানো হয়েছিল যে, তার মনোনয়ন পত্রে কিছু কিছু ত্রুটি আছে। আমি তখন মন্তব্য করেছিলাম মওদুদ আহমদ সাহেব নির্বাচন না করলে আমি খুব কষ্ট পাবো।
তা না হলে প্রতিদ্বন্ধিতামূলক নির্বাচন সেখানে হবে না। আমার মধ্যে কিন্তু এই মানসিকতা কাজ করে না। ২০ দলীয় জোটের বৈঠকের পর কর্ণেল অলি আহমেদ অভিযোগ করে বলেছেন, এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকা যাবে না-এর প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, অলি আহমেদ সাহেব আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি কিছু কিছু সমস্যা তুলে ধরেছিলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে। আমি তখনই তাকে বলেছি যে দেখুন, এখন তো প্রশাসন, পুলিশ, নির্বাচন সব কমিশনের অধীনে।
তারপরও আমি দলের সেক্রেটারি হিসেবে চেষ্টা করব যাতে আপনার এলাকায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কোনভাবে ক্ষুন্ন না হয়। আমি সেখানে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা কোনও অবস্থাতেই এক তরফা কোনও কিছু সৃষ্টি করে, নির্বাচনে লড়াই করতে চাইনা। গণতন্ত্র দুই চাকার একটি সাইকেল। এক চাকা ক্ষমতাসীন দল এবং আরেক চাকা বিরোধী দল। কোন চাকায় কে থাকবে এটা জনগণই সিদ্ধান্ত নিবে।