পাবনায় দুই গ্রুপের গুলাগুলি; নিহত ২, আহত ১০

443

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ২জন নিহত ও ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের আওরঙ্গবাদ খয়েরবাগান গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলো: খয়েরবাগান গ্রামের মৃত জাহেদ আলী শেখের ছেলে আব্দুল মালেক ও মৃত গহের আলী খানের ছেলে লষ্কর আলী খান। এঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পাবনা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রামটি পদ্মা নদীর চর এলাকা হওয়ায় আসছে শুষ্ক মৌসুমে ব্যাপক বালি উত্তেলন হয় ওই এলাকায়। প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালি উত্তোলন করে একটি চক্র। আর এই বালি উত্তোলনকে কেন্দ্র করেই স্থানীয় আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ ও অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা সুলতান আহমেদ

আজ সোমবার সন্ধায় খয়েরবাগান গ্রামে দুই গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে সংর্ঘষ হয়। এসময় উভয় গ্রুপই ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে। এত ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন এবং গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ১০জন আহত হয়েছে। আহতরা সবাই পুলিশী ঝামেলা এড়াতে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।

তবে আহতদের নাম জানা যায়নি। ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ জানান, আসন্ন নির্বাচনে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য সুলতান গ্রুপ এসব কর্মকান্ড করছে। তিনি দাবী করেন সুলতান কখনো আওয়ামীলীগ করেনি সে জাসদের সমর্থক। তবে এই ঘটনায় অপর গ্রুপের নেতা সুলতানের সাথেই কথা বলা সম্ভব হয়নি।

পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান আরো জানান, সংঘর্ষের বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে পুলিশী তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।