আজ শুভ বড়দিন

559

আজ শুভ বড়দিন। এই দিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট। দিনটি তাই খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়। বাংলাদেশেও এ ধর্মের অনুসারীরা ব্যাপক উৎসাহ ও নানা আয়োজনে উৎসবটি পালন করে। বাংলাদেশে আজ সরকারি ছুটির দিন।

যিশুখ্রিষ্টের জন্ম কবে হয়েছিল, তা নিয়ে মতভেদ আছে। তবে চতুর্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে পশ্চিমা চার্চ ২৫ ডিসেম্বর তার জন্মদিন পালন শুরু করে। পরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোতেও এই প্রথা চালু হয়।

সময়ের দিক থেকে ২৫ ডিসেম্বর দিনটি বড় নয়, তবে বড় হিসেবে পরিচিত হয়েছে। যিশুখ্রিষ্ট এদিন জগতে আসার মধ্য দিয়ে ২৫ ডিসেম্বরকে মহৎ করেছেন বা ‘বড়’করেছেন। ‘বড়দিন’ তাই বিশ্বাস-ভালোবাসা ও ক্ষমার চেতনায় ‘বড়’ হওয়ার দিন বলে মনে করেন তার অনুসারীরা।

আজ সব খ্রিষ্টান পরিবারে ভালো খাবার রান্না হবে, বিশেষ করে কেক থাকবেই। ধর্মীয় গানের পাশাপাশি হবে প্রার্থনাসভাও। আজ খ্রিষ্টানদের কবরস্থানগুলোতে মোমবাতি জ্বালাবেন স্বজনরা। এদিনে কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো, গির্জা ও বাড়ি সাজানো এবং প্রীতিভোজের আয়োজন করবেন তারা। আগের দিন রাতে শিশুরা সান্তাক্লজের কাছ থেকে পায় বিশেষ উপহার। ক্রিসমাস ট্রি সাজানো এ উৎসবের একটি বড় অনুষঙ্গ।

বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।

এ দিকে বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জা, কাকরাইল সেন্ট মেরি ক্যাথিড্রাল চার্চ, মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ সেজেছে রঙিন সাজে। গির্জার প্রবেশপথে সাজানো হয়েছে ক্রস ও শুভেচ্ছা কার্ডসহ উপহারসামগ্রী বিক্রির দোকান।

এ দিকে বড়দিনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, হোটেল কন্টিনেন্টাল, দ্য ওয়েস্টিন ও ঢাকা রিজেন্সি হোটেল সাজানো হয়েছে রঙিন বাতি, বেলুন, ক্রিসমাস ট্রি আর ফুল দিয়ে। আজ মঙ্গলবার দিনভর হোটেলগুলোতে চলবে আনন্দ-উৎসব। রাতে কেক কাটা ও প্রার্থনার পর সকালে গির্জায় একত্রিত হবেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা। সকালের প্রার্থনার পর বাড়িতে ফিরে ছোটরা বড়দের আশীর্বাদ নেবে এবং আনন্দে মেতে উঠবে। এভাবেই বড়দিনের আনন্দ সবাই ভাগাভাগি নেবেন ধনী-গরীব নির্বিশেষে।