উন্নয়নের অগ্রদূত উলা গ্রামের সেই ছেলেটি

550

প্রকৃতপক্ষে মানব সভ্যতার বা মানবিক গুনাবলীর মূলকথা মানুষের সেবা করা । পাশাপাশি মহান স্রষ্টার সকল  সৃষ্টির সেবা করা। মূলতঃ সেবার মহান দায়িত্ব যারা পালন করেন তাঁরা যে সৃষ্টিকর্তাকেই সেবা করেন, তা সকল ধর্মেই স্বীকৃত। স্বচ্ছ জবাবদিহিতা নিশ্চত করণ গণতন্ত্রের পূর্ব শর্ত। জনগনের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের পাশাপাশি দেশের অবকাঠামো মজবুত করতে পারলে গণতন্ত্র অর্থবহ করা সম্ভব বলে চিন্তাবিদ, বৃদ্ধিজীবি সর্বপরি সমাজ নির্মাতারা মনে করেন। “সুন্দর যে সে যথা স্থানেই সুন্দর” প্রকৃত সেই অনিন্দ্য সুন্দররুপ-সাগর উপকূলবর্তী সুন্দরবন সংলগ্ন রুপসী রূপসা নদীর পলিবিধৌত উর্বরভূমি দক্ষিণ এশিয়ার ওলীকূল শিরোমণি আধ্যাত্যিক জ্ঞানতাপস হযরত খাঁন উল আজম উলুখ খাঁনজাহান আলায়হ্যি রহমাতুল্লাহের পদস্পর্শি পূণ্যভূমি খুলনার দক্ষিণাঞ্চল। সুন্দর সৃষ্টির মাঝে বিজ্ঞানের লীলাভূমিতে এক আলোকিত মানুষের কথা বলতে হয়। তিনি হলেন বর্তমান প্রজন্মের অহংকার উন্নয়নের অগ্রদুত উলা গ্রামের সেই ছেলেটি শ্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। তিনি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার উলাগ্রাম চন্দ্র বংশের স্বর্গীয় কালীপদ চন্দ ও স্বর্গীয়া রেণুকা বালা চন্দের দ্বিতীয় পূত্র । ১৯৪৫ সালের ১২ মার্চ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। স্ত্রী-ঊষা রাণী চন্দ স্কুল শিক্ষিকা । তিনি ৩ পুত্র ও এক কণ্যা সন্তানের জননী। জ্যেষ্ঠ পুত্র  প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সভাপতি এবং সেন্টার অব এক্সেলেন্স ইন টিচিং এন্ড লানিং এর পরিচালক। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের পরপর দুই বার নির্বাচিত ডীন। অন্যদিকে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য ছিলেন।
শিক্ষা জীবনে বাবু নারায়নচন্দ্র চন্দ অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। রাজাশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে বিএ অনার্স ও ১৯৬৭ সালে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর কর্মচাঞ্চল্যের পরিচয় সব মানুষের দোর গোঁড়ায় । প্রাণবন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ আচারনে আজ এলাকাবাসি আশান্বিত । এছাড়া রয়েছে তাঁর অসাধারণ ধী শক্তি,  অবিচলিত অধ্যবসায়, সরলাপূর্ণ সৎ স্বভাব ও অক্লান্ত উদ্যেম দূরদর্শীতা। শ্রী নারায়ন চন্দ্র  চন্দের অবস্মরণীয় র্কীতি যেমন আকাশচুম্বী, তেমনি মানবতাবোধ প্রখর সংবেদনশীল। সমাজের কল্যাণে তাঁর নিরহংকার ভূমিকায় ফুলতলা-ডুমুরিয়াবাসি ধন্য ও গর্বিত।
ছাত্র জীবনে নারায়ন চন্দ্র চন্দ আয়ুব বিরোধী আন্দোলন ও ১৯৬৬ সালের ৬দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে সরাসরি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের খুলনার ডুমুরিয়া থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থনে ডুমুরিয়া থানা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যশোর থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে চুকনগর স্কুল মাঠে বক্তৃতা করেন। ওই সময়ে বঙ্গবন্ধু  স্ন‌েহভরে তাঁর পিঠে হাত রেখে বলেছিলেন , “ তোদের মত শিক্ষিত ছেলেদের আমার দরকার”। নারায়ন চন্দ্র চন্দ ১৯৮৪ সালে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারন সম্পাদক ও ১৯৯৫ সালের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। দীর্ঘ ৩৯ বছর যাবৎ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক সমিতিরও নেতৃত্বদেন এই বর্ষিয়ান নেতা। এছাড়া তিনি ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও  ২টি  মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

জনপ্রতিনিধি হিসেবে সর্বপ্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নারায়ন চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডার পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একনাগাড়ে দীর্ঘ ২৯ বছর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাউদ্দিন ইউসুফের মৃত্যুর পর ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর খুলনা ৫ আসনের উপ-নির্বাচনে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সর্বশেষ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে তৃতীয়াবারেরমত নির্বাচিত হয়ে মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে তিনি একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে অদ্যবদি দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালন করে আসছেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব সময়কালে নারায়ন চন্দ্র চন্দ,এমপিখুলনা-৫ আসন এলাকায় যে সকল উন্নয়কাজ করেছেন, তার উল্লেখযোগ্য কিছু উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হলো।
ডুমুরিয়া উপজেলার উন্নয়ন ঃউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন, স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ,  মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, প্রাণী সম্পদ ইনস্টিটিউট (চলমান) ,উপজেলা পরিষদ কমেপ্লক্সের নতুন ভবন (চলমান), শিল্পকলা ভবন এবং মুক্তমঞ্চ (চলমান),শরাফপুর মাগুরখালী ব্রীজ (চলামন), শোলগাতিয়া ব্রীজ, ডুমুরিয়া সদর মিনি স্টেডিয়াম, গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন,উপজেলা নতুন মৎস ভবন নির্মাণ, উপজেলা আইসিটির নতুন ভবন (মাধ্যমিক), উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের মাঠ ভরাট সহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ,ডুমুরিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ,ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন,১টি বিদ্যুৎ সাবস্টেশন নির্মাণ সহ ৩টি সাবস্টেশনের কাজ চলামন, ত্রাণের মাধ্যমে ৪২টি ছোট ব্রীজ/ কালভার্ট, কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় ১২টি নতুন ভবন, মাগুরখালী রংপুর গুটুদিয়া সহ সব ইউনিয়নে প্রায় ২৩৮ কিলোমিটার রাস্তা, ৮০ কিঃ.মিঃ ইটের সলিং (রাস্তা) ওকাবিটা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৬০ কিঃ মিঃ মাটির রাস্তা নির্মাণ হয়েছে।
এছাড়া ডুমুরিয়া বাজার ড্রেনেজ ব্যবস্থা, মধুগ্রাম কলেজ সরকারী করণ, ভদ্র নদী খনন, ঘোনা মাদারডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এম.পি.ও করণ, কুমরাইল দাখিল মাদ্রসা এম.পি.ও করণ, পাঁচপোতা দাখিল মাদ্রাসা এম.পিও করণ, ডুমুরিয়া উপজেলা ১০টি ব্যংকের শাখা স্থাপন, খুলনা-সাতক্ষীরা-ভোমরা মহা সড়ক প্রশস্ত করণ, পানি নিষ্কাশনের জন্য ১৫টিগেট সংস্কার, ডুমুরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ খাল বিল সহ পুকুরে মাছের পোণা অবমুক্ত, ৩০ হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ, সুপীয় পানীর জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন, বল্ক দ্বারা খর্নিয়া বাজার এবং শরাফপুর চাঁদগড় বৃত্তিবিরালা নদী ভাঙ্গন রোধ (চলমান), ৮৮টি খাল খনন করা হয়েছে । উল্লেখ্য, ডুমুরিয়া উপজেলার ৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করণ করা হয়েছে। এছাড়া ডুমুরিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন করা হয়েছে । মসজিদ,মাদ্রসা ও মন্দির সহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় নারায়ন চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়াতে অকল্পনীয় উন্নয়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
একনজরে ফুলতলা উপজেলার উন্নয়নের চিত্র:
শিরোমনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন এবং আটরা শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ, শিরোমনি বাজার বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ২য় তলা সম্প্রসারণ, গিলাতলা পালপাড়া পূজা মন্দির উন্নয়ন, ফুলতলা মহিলা কলেজ সরকারি করণ, মশিয়ালী খাল অভিমুখে কালভার্ট,  উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ ভবন , উপজেলা মৎস ভবন, ফুলতলা মহিলা কলেজ দ্বিতল ভবন ও চতুর্থ ভবন, ফুলতলা এম এম কলেজের নতুন ভবন নির্মাণ, গাড়াখোলা দাখিল মাদ্রাসা এম.পি.ও করণ ও নতুন ভবন নির্মাণ, বিপিজিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ, দামোদর এম এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ, উপজেলা কবর স্থান আধুনিকায়ন, দামোদর গাছতলা পূজা মন্দির আধুনিকীকরন, ফুলতলা উপজেলা স্কাউট ভবন নির্মাণ, দামোদর রেলষ্টেশন আধুনিকীকরণ, বরণপাড়া খালের অভিমুখে কালভার্ট নির্মাণ,  দামোদর খেয়াঘাট মহাশ্মশানে বিশ্রামাগার নির্মাণ, উপজেলা পরিষদ থেকে এমসিএসকে পর্যন্ত  রাস্তা উন্নয়ন, পথেরবাজার থেকে গাড়াখোলা হয়ে জামিরা রোড পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, দামোদর কড়াই কোম্পানী থেকে মোল্যা পাড়া পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণ, দামোদর মুক্তেশরী হতে বুড়িয়ারডাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তা উন্নয়ন। ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ, রাড়ীপাড়া সরাকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডার ওয়াল নির্মাণ ও উন্নয়ন, ফুলতলা বাজারের মহিলা মার্কেট (বউ বাজার) নির্মাণ, ফুলতলা বাজারে নতুন রাস্তা, চান্দিনা নির্মাণ সহ ড্রেনেজ সমস্যা সমাধানে  উন্নয়ন, পয়গ্রাম কসবা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও জামে মসজিদ উন্নয়ন, ফুলতলা রি-ইউনিয়ন মডেল স্কুল এন্ড কলেজের নতুন ভবন নির্মাণ, যুগ্নিপাশা হতে পায়গ্রামকসবা ঘাট পর্যন্ত রাস্তা পুন: নির্মাণ, বেজেরডাঙ্গা রেলষ্টেশন থেকে গাজীপুর রাস্তা পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণ, জামিরা ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণ, জামিরা বাজার দাখিল মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মাণ, জামিরা বাজার আসমোতিয়া স্কুল এন্ড কলেজ এসএসসি সেন্টার চালু, শুকলা স্মরণিকা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ,ধোপাখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ, জামিরা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের উন্নয়ন, জামিরা ভূলাপাতা খাল অভিমূখে কালভার্ট নির্মাণ, জামিরা বাজারকেন্দ্রিয় পূজা মন্দির উন্নয়ন,  ফুলতলা থেকে শাহাপুর পর্যন্ত রাস্তা পুন: নির্মাণ ও ধোপাখোলা থেকে শেষ সীমানা পর্যন্ত  রাস্তা পুন: নির্মাণ।
এবার ২০১৮ সাল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা ৫ আসনথেকে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন উন্নয়নের এই অগ্রদূত নারায়ন চন্দ্র চন্দ। তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকায় স্বত;স্ফুর্তভাবে নির্বাচনী গণসংযোগ করছেন। বিশেষ করে আইন শৃংখলা বা নির্বাচনবিধি অনুসরন করেই নারায়ন চন্দ্র চন্দ সম্মানিত ভোটারদের সাথে কুশল ও মতবিনিময় করছেন। তিনি পথসভা, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগকালে বলেছেন, এদেশে উন্নয়নের একমাত্র রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তাই নৌকার প্রতীকে আগামী  ৩০ ডিসেম্বর সকলকে নির্বিঘ্নে  ভোট দেওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি।