গতকাল ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় খুলনার আড়ংঘাটা গাঁইকুড় এলাকা থেকে প্রবীণ সাংবাদিক কাজী ইনামুল হক (৬০) কে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে সাংবাদিক ইনামুল হককে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কোর্টে প্রেরণ করে।
জানাযায়, গতকাল সন্ধ্যায় আড়ংঘাটা থানার ওসি রেজাউল করিমের নির্দেশনায় পুলিশ সাংবাদিক ইনামুল হক, পিতা-মৃত গোলাম ইজদানীকে গাঁইকুড় পত্রিকা অফিস থেকে নিয়ে যায়। থানায় ইনামুল হকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে তাকে পুলিশ আটক দেখায়। বিষয়টি নিয়ে খুলনা সাংবাদিক মহল সহ সর্বস্তরে জানাজানি হয়েগেলে পুলিশ আড়ংঘাটা থানা থেকে ইনামুল হককে নিয়ে অন্যাত্র গাড়িতে করে নিয়ে চলে যায়। অবশেষে বেলা সাড়ে ১২টায় তাকে কোর্টে প্রেরন করে বলে তথ্য পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ওসি রেজাউলি করিম মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, কাজী ইনামুল হক কয়েকদিন পূর্বে আড়ংঘাটায় বিএনপি’র গনসংযোগে ছিল এবং তার কিছু ফুটেজ আছে। তবে ওসি রেজাউল রহস্যজনক কারনে ২ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও কোন সংবাদিকদের সাথে দেখা করেনি। বরং প্রায় ৩ ঘন্টা আড়ংঘাটা থানায় বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকরা অবস্থান করলেও ওসি রেজাউল করিমকে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে সাংবাদিক ইনামুল হককে বিনাকারণে হয়রানি মূলক গ্রেফতার করার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিকভাবে প্রেসক্লাব আড়ংঘাটা সহ স্থানীয় সাংবাদিকরা এক প্রতিবাদসভার আয়োজন করে। ওই প্রতিবাদ সভায় ওসি রেজাউলের এ ধরনের খামখেয়ালিপনা কাজের জন্য কড়া সমালোচনা করা হয়। সাংবাদিক নেতার হুশিঁয়ারি করে বলেন, কাজী ইনামুল হকের মত আর কোন সংবাদিককে এভাবে যদি অহেতুক হয়রানি করা হয়। ভবিষ্যৎে এর পরিনাম শুভকর হবে না।
সভায় সাংবাদিকরা আগামী ৪ঠা জানুয়ারী ২০১৯ সালে আড়ংঘাটা বাজারে কাজী ইনামুল হককে পুলিশি হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। সিআইএনটিভি২৪ এর জেলা ক্রাইম রিপোর্টার এস মুরাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় খুলনা শিল্পাঞ্চল সাংবাদিক ঐক্য সংস্থার সভাপতি মো. আবু হামজা বাঁধন, প্রেস ক্লাব খুলনার সদস্য আবু দাউদ ইমরান, আড়ংঘাটা প্রেসক্লাবে সাধারন সম্পাদক ইমদাদুল, খুলনা রিপোর্টাস ক্লাবে সহ সাধারন সম্পাদক মো.আলামিন খাঁন, শশাঙ্ক মল্লিক, জাহিদুর রহমান, জাহিদুর রহমান মামুন, শেখ ইউনুস আলী, শেখ হান্নান, ইমরান মোল্যা, শওকত আলী, সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।