ব্যাচেলরদের বাসা ছাড়ার কোনো নির্দেশনা দেয়নি ডিএমপি

525

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রাজধানীতে বসবাসরত ব্যাচেলরদের বাসা ছাড়ার জন্য কোনো নির্দেশনা প্রদান করেনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিউজ ওয়েব পোর্টাল ডিএমপি নিউজ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্নস্থান থেকে শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবীরা অভিযোগ করছেন, পুলিশি নির্দেশনার কথা বলে মেস মালিকরা তাদের মেস এবং হোস্টেল ছাড়তে বলেছেন। আকস্মিক এমন নির্দেশনায় রীতিমত বিপদেই পড়েছেন বিভিন্ন মেস এবং হোস্টেলে থাকা ব্যাচেলররা।

রাজধানীর একাধিক এলাকার ব্যাচেলর বাসা ও মেস মালিকরা জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার অজুহাতে ভোটের আগের দিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন মেস ও ব্যাচেলর বাসা ফাঁকা রাখতে বলা হয়েছে। এ ধরনের নির্দেশের কারণে তারা বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

মিরপুর পীরেরবাগ এলাকার একাধিক মেসের ছাত্র ও চাকরিজীবীরা জানান, মেসে এসে মালিক বলে গেছে নির্বাচনকালে তিন দিন মেসে থাকা যাবে না। পুলিশ না কি থাকতে নিষেধ করেছে। এই সংবাদে বেশ কয়েকজন ছাত্র চলেও গেছে।

সুমন নামে একজন মেস বাসিন্দা জানান, আমরা কয়েকজন চাকরিজীবী চাকরির কারণে নিষেধ করার পরে রয়ে গেছি। তবে অনেকে চলে গেছেন।

রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তন্ময় বলেন, হঠাৎ করেই বাসার মালিক ফোন দিয়ে বলেন তাড়াতাড়ি বাসায় এসে ফ্ল্যাট খালি করে দিতে। ফ্ল্যাট ছেড়ে যাবো সমস্যা নেই, কিন্তু এতো দ্রুত কোথায় যাবো? একে তো আজ বৃহস্পতিবার। ভৈরব যাওয়ার জন্য ট্রেন বা বাসের টিকিট কিছুই পাচ্ছি না। কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।

ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) মো. মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, ব্যাচেলরদের বাসা কিংবা মেস ছেড়ে দিতে হবে এমন কোন নির্দেশনা বাড়ির মালিকদের পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি। বাড়ির মালিকদের শুধুমাত্র তাদের ভাড়াটিয়াদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করে থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে।বাড়ির মালিক কাকে ভাড়া দেবেন নাকি দেবেন না, এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা শুধু চাই সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।