আজ শনিবার মিরপুর নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের হয়ে বিপিএল খেলতে নেমেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে হিরের টুকরা বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁকে এবার মন্ত্রী করার দাবি উঠেছে। এ দাবি নড়াইলবাসীর।
দাবি বাস্তবায়নে আজ সকাল ১০টায় নড়াইল প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এ কর্মসূচির আয়োজন করে। বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ এতে অংশ নেয়।
ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব সভাপতি মো.আলমগীর সিদ্দিকী, সাবেক সভাপতি এনামুল কবির টুকু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মলয় কুমার কুণ্ডু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু, নড়াইল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল বিশ্বাস, নারীনেত্রী আঞ্জুমান আরা, সালমা রহমান, সিটি কলেজের শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান, সাংবাদিক শামীমুল ইসলাম প্রমুখ।নড়াইল প্রেসক্লাব সভাপতি মো.আলমগীর সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় খেলার মাঠের মাশরাফি আজ নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য। ২০ ডিসেম্বর নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি পাইলট বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে তাঁকে হিরের টুকরা উপাধি দেন। মাশরাফিকে আমরা মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।’
শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মলয় কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের ৪৮ বছরেও নড়াইল থেকে কেউ মন্ত্রী হতে পারেননি। আমাদের আশা, প্রধানমন্ত্রী তাঁর হিরের টুকরোকে মন্ত্রী করবেন।’
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম বলেন, অনুন্নত নড়াইলকে মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, বাল্যবিবাহমুক্ত জেলা গঠনসহ সার্বিক উন্নয়নে মাশরাফিকে মন্ত্রী করার বিকল্প নেই। এটা নড়াইলবাসীর দাবি। নড়াইলের আট লাখ মানুষের প্রাণের দাবি প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করবেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু বলেন, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নড়াইলের নাম প্রথম সারিতে। মাশরাফি মন্ত্রী হলে খেলাধুলার ধারাবাহিকতা আরও শাণিত হবে। ইতিমধ্যে তিনি বেসরকারিভাবে নড়াইল এক্সপ্রেস নামে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গঠন করে আলোচিত হয়েছেন।