খানজাহান আলী থানা এলাকায় পরপর ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় জনমনে আতংক

856

আবু হামজা বাঁধন, ডেক্স রিপোর্ট

খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন আটরা বাইপাশ এলাকায় হোটেল ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুর রহিমের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৬-0১-১৯) তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে মহানগর হাকিম মোঃ তরিকুল ইসলাম জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, আলামিন ইসলাম ডলার (৩৫), রুবেল ওরফে ট্যাম রুবেল (৩২), আলামিন মুন্সি (২৫) ও সুজন সর্দার ওরফে পটল (২২)।
তথ্যমতে,  গত শুক্রবার আনুমানিক রাত ২টার দিকে হোটেল ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুর রহিম এবং তার মা পারুল বেগমকে বেঁধে রেখে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইলসহ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতিকারীরা।
খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবার ২০১৮  অর্থাৎ প্রায় দেড়মাস আগে খানজাহান আলী থানায় আরো একটি ডাকাতির ঘটনার ঘটে। ইষ্টার্ণগেট-মশিয়ালী গ্রামে বসবাসরত শিক্ষক গোলাম  মোস্তফার বাসায় দূর্ধষ ডাকাতি সংঘঠিত হয়। এ ঘটনার কূল কিনারা পেতে না  পেতে আবারও আটরা মাত্তমডাঙ্গা এলাকায় ব্যবসায়ি রহিমের বাসায় ডাকাতি সংঘঠিত হয়।  তবে এলাকাবাসি মনে করেন, এ দুটি ডাকাতির পিছনে যারাই থাকুক না কেন। ঘটনার সাথে মূলতঃ জড়িতদের আইনের আওতায় পারলে ডাকাতির এই ধারাবাহিকতা বন্ধ হবে।

স্থানীয়রা জানান, পুলিশ ডাকাতি মামলার মুটিভ উদঘাটন করার জন্য একের পর এক নিরপারাধ মানুষকে আটক করছে। অপরদিকে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা  এস আই  তৌহিদ জানান, আমরা আমাদের তদন্তের জন্য যাকে সন্দেহ হচ্ছে তাঁকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  আনছি। আবার স্ব-সম্মানে ছেড়ে দিচ্ছি।

বর্তমান খানজাহান আলী থানার আইন শৃংখলার বিষয় মুঠোফোনে ওসি শফিকুল ইসলামের সাথে  যোগাযোগ করলে তাঁকে  ফোনে পাওয়া যায়নি।

পরপর দুটি ডাকাতি ও একটি  হত্যার ঘটনা খানজাহান আলী থানা এলাকায় ঘটার ফলে আইন শৃংখলার অবস্থা  অনেকটা  শনির রাহুগ্রাস পড়েছে । সাথে সাধারন মানুষ আতংকের মধ্যে রয়েছে। তবে পুলিশ তৎপরতার সাথে চাঞ্চল্যকর তিনটি ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে  নেমেছে।