ফকিরহাট থানা প্রতিনিধি
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মুলঘর ইউনিয়নে গুড়গুড়িয়া গ্রামের ডোঙ্গার খালের সুইচগেটটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় গেটের পাঁচটি দরজা না থাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমির ক্ষতি হচেছ।এই এলাকায় চাষীদের ইরি ধানের বীজ রোপন করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ছে। যার ফলে মারাতœক ভাবে ক্ষতিগ্্রস্থ হচ্ছে স্থানীয় কৃষকেরা। এই এলাকার মানুষেরা চিংড়ি মাছ চাষের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে ধান চাষের উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে বিভিন্ন কারনে চিংড়ি চাষিরা ধ্বংসের পথে। ফলে এখানকার মানুষ ধান চাষের উপর আস্থাশীল।
এলাকাবাসির অভিযোগ রয়েছে, কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে সুইচ গেটের মুখসহ পানি ওঠা-নামার দরজাগুলো। চলতি মৌসুমে কৃষকের পানির প্রয়োজন না হওয়া সত্বেও এই দরজা গুলো দিয়ে জোয়ারের পানি এসে ফসলি জমি ডুবিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে কৃষকেরা ধানের চারা রোপন করতে পারছে না। ফলে কেড়ে নিচ্ছে কৃষকের চোখের ঘুম। বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য নির্মিত এই সুইচ গেট এখন কৃষকের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। এই খালে বছরের অধিকাংশ সময় কচুরিপানা ভরা থাকে। এই কচুরিপানার কারনে এখানে পানি নিষ্কাশনেরও ব্যাপক সমস্যা হয় বলে এলাকাবাসি জানান। এ বিষয়ে ৭নং মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ হিটলার গোলদার এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, গেটের দরজা গুলো সংস্কার করার দ্বায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের। কিন্তু বর্তমানে গেটের দরজা না থাকাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা কর্তপক্ষকে জানালে তারা ঠিক করতে আসবো আসবো বলে আসেন না। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় চাষীরা বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন, কিন্তু এই সুইচগেটটির মেরামতের অভিজ্ঞতা স্থানীয়দের না থাকায় এর কোন সমাধান করা যাচ্ছে না। যার ফলে এলাকার কৃষকেরা খুবই বিপাকে পড়েছে। এ বিষয়ে ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোসাঃ শাহনাজ পারভীনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং স্থানীয় জনসাধারন যাতে আর ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে এলাকাবাসিকে আশ্বস্থ করেছেন।