খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা আজ (রবিবার) সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। বছরের প্রথম এই উন্নয়ন সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী এবং খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান।
সভায় খুলনা সিটি মেয়র বলেন, উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের মধ্যে সমন্বয়ের পাশাপাশি তাদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। কেবল উন্নয়ন কাজ করলেই হবে না, সেগুলো যেন টেকসই হয় সেজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। তিনি বর্ষকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশন মধ্যে রাস্তা মেরামতের কোন কাজ করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেন। খুলনাকে জলাবদ্ধতামুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, খুলনা শহরের পানি অপসারণের জন্য ময়ূর নদীসহ ২২টি খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে পুনঃখননের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এসময় তিনি কোন রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ ভূমি দখলের চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে প্রতিহত করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী বলেন, খুলনা হবে পরবর্তী সেরা ব্যবসায়িক কেন্দ্র বিন্দু। দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প নগরী হিসেবে খুলনার পুরাতন ঐহিত্য ফিরিয়ে আনা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন পরবর্তী সময়ে খুলনাকে আমরা কিভাবে দেখতে চাই তার জন্য বৃহত্তম খুলনাকে নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে এখনই। তিনি আরও বলেন, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে না পারলে তারা মাদকসহ নানা ধরনের অসামাজিক কাজে আসক্ত হয়ে পড়বে। তিনি এখন থেকে নিয়মিতভাবে শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জাতীয় লীগ পর্যায় এবং আন্তর্জাতিক খেলা অনুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের সেবার মানসিকতা নিয়ে জনগণের দোর গোড়ায় যেতে হবে। তিনি দুর্যোগ প্রবণ কয়রা-পাইকগাছা এলাকার ৫৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বর্ষার আগেই সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সভায় সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, সকল ইউএনওসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।