দুজনই মহাসচিব। একজন সরকারি দলের আর অন্যজন বিরোধীদল বিএনপির। রাজনীতির মেঠো বক্তৃতায় দুজনই কাউন্টার আর পাল্টা কাউন্টার বক্তব্য দিয়ে থাকেন। কিন্তু একেবারে ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ নিয়ে সাধারণত কথা বলতে দেখা যায় না কাউকেই। আজ দুপুরে রীতি ভেঙে ওবায়দুল কাদের কথা বললেন মির্জা ফখরুল ইসলামকে নিয়ে।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) সজ্জন মানুষ, তা ছাড়া মানুষ হিসেবেও ভালো। তিনি আসলে দলের চাহিদা পূরণ করলেন কি না, সেটা দেখবে বিএনপি।
দুপুরে ঢাকার মতিঝিলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি) প্রধান কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি দল করেন, তাই দলের পক্ষে অনেক কিছু বলছেন। তিনি তো আর বিএনপির আবাসিক প্রতিনিধির মতো বক্তব্য রাখেন না।
আমি মির্জা ফখরুল ইসলামের মুখে নোংরা ভাষায় কথা শুনিনি।’
মির্জা ফখরুল ইসলামকে তাঁর পদ থেকে সরানোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওই দিন পলিটিক্যাল বক্তব্য দিয়েছিলাম। মহাসচিব পদে পরিবর্তন আসবে কি আসবে না, এটা বিএনপির ব্যাপার। এখানে আওয়ামী লীগের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই। এটা আমার পাল্টা রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল। আমি ফখরুল সাহেবের পক্ষ নিলে ভেতরে-ভেতরে তিনি পার্সোনালি ঝামেলায় পড়বেন।’
উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপির পক্ষ থেকে এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপিকে দেখলে মনে শিল্পী জয়নুলের কাদায় আটকে পড়া গরুর গাড়ির মতো মনে হয়। কাদায় আটকে আছে, সেটা ভুলের কাদায়। বিএনপির এখনকার কথাবার্তা, আচরণে ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কোনো ইঙ্গিত বা ইশারা নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিবের মুখে শোচনীয় ব্যর্থতার অসংলগ্ন প্রলাপ আমরা শুনতে পাচ্ছি। এই সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পাঁচটি সিটি করপোরেশনে বিএনপি জিতেছে। সর্বশেষ সিলেটেও তারা জিতেছে। এখন কী কারণে বিএনপি অংশ নেবে না, এটা তাদের ব্যাপার। নির্বাচনে অংশ নেওয়া তাদের অধিকার, অধিকার তারা প্রয়োগ না করলে সেটা তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আপনাদের মনে আছে ১৯৭০-এর নির্বাচনের কথা? সে সময় লিগ্যাল ফ্রেমের মধ্যেও বঙ্গবন্ধু নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। আজকেও আমরা বিএনপির অবস্থানে থাকলে সব নির্বাচনে অংশ নিতাম। কোনো নির্বাচন বর্জন করতাম না।’