বদরুজ্জামান খোকা, জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ
-সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিকড়ীতে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ইমন ভাটা নামে ইট প্রস্তুত কারখানা স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। জনবসতিপূর্ণ ও ফসলের ক্ষেত ধ্বংস করে স্থাপিত ইটভাটা বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় এলাকার সামগ্রিক পরিবেশ ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে ফসলের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এবং বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ফলে পরিবেশ দুষন সহ নানা রোগের আবির্ভাব ঘটছে। ও ফসলি জমির মাটি কেটে ইট প্রস্তুত করা হচ্ছে। মাটির কাজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ ট্রলি।এই ট্রলি রাস্তায় চলার ফলে রাস্তা-ঘাট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব অবৈধ ট্রলি চলাচলের ফলে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী সহ এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। এসব দেখে ও স্থানীয় প্রশাসন কোনো এক অজ্ঞাত কারণে ভূমিকা নিচ্ছে না। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইমন ব্রিকসে গিয়ে দেখা যায় ইটভাটার চারপাশে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি রয়েছে। ইমন ভাটা প্রসঙ্গে বর্গাচাষী আবদুল হামিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ভাটা করার পূর্বে এই মাঠে যেমন ফসল হতো এখন আর তেমন ফসল হয় না। ভাটা স্থাপনের ফলে ফসলের ক্ষেত বৃক্ষরাজি ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ব্যাপকহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ব্যাপারে ইমন ভাটার মালিক সাইফুদ্দিন পলাশ বলেন আমরা আইন মেনে সবকিছু ম্যানেজ করেই ভাটা পরিচালনা করছি। ও সব পত্রিকায় লিখে কোন কাজ হবে না। আমার কোন সরকারী নীতিমালার কাগজ নেই, আছে শুধু ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স। এবং ভাটার সমস্ত কাগজপত্র প্রক্রিয়াধীন আছে। এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী সহ স্থানীয় জমি মালিকরা। ইট পোড়ানো-নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুযায়ী কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন তৈরি করা হলেও তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তৈরি করছে অবৈধ ইটভাটা। ইমন ইটভাটায় কয়লার সাথে ব্যবহার হচ্ছে টায়ারের গুড়া এবং কাঠ। যা পরিবেশকে নষ্ট করছে। সরকারি অনুমোদিত কোনো কাগজপত্র ইমন ব্রিকসের মালিক সাইফুদ্দিন পলাশ দেখাতে পারে নাই। এইভাবে যদি যত্রতত্র অবৈধ ভাটা গড়ে ওঠে তাহলে কৃষি জমি নষ্ট সহ একসময় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। এবং দেশের নানা প্রকার দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। তাই এলাকাবাসী এর প্রতিকার চাই।