আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইস্যুতে গতরাতে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, আমাদের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে- সিটি করপোরেশন, উপজেলা নির্বাচন এগুলোতে আমরা অংশ নিচ্ছি না। আমরা মনে করি, এ সরকারের অধীনে এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় এ ধরনের নির্বাচনগুলো শুধু প্রহসনে পরিণত হওয়া ছাড়া অন্য কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যেহেতু এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যেই, ফলে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এখানে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তাই এই নির্বাচনগুলোতে আমরা অংশ নিচ্ছি না। এটা আমাদের পার্টির সিদ্ধান্ত। আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবন্দিত্বের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে কোনো কর্মসূচি দেয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা পরে জানানো হবে।
জাতীয় সংসদের যে আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেখানে অংশগ্রহণ করবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেখানেও অংশ নেবো না। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে বসে বিএনপির নীতিনির্ধারক ফোরাম।
প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা ধরে চলে এ বৈঠক। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে বেশিরভাগ নেতাই জাতীয় নির্বাচনসহ বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে মতামত দেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অংশ নেন। এদিকে বাদ মাগরিব বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে অংশ নেন। পরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।