২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে : মেয়র খালেক

565

ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের ১৮৩টি সদস্য দেশের সাথে একযোগে আজ (শনিবার) খুলনায় আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উদপাপিত হয়। এবছর কাস্টমস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অবাধ বাণিজ্য, ভ্রমন এবং পরিবহনের জন্য স্মার্ট সীমান্ত ব্যবস্থা’। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের খুলনা-মোংলা আঞ্চলিক কমিটি দিবসটি উদযাপনে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে।

সকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি মোংলা কাস্টম হাউস প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে নগরীর হোটেল টাইগার গার্ডেন ইন্টারন্যাশনালে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে হোটেলের হল রুমে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, একসময় বাংলাদেশের বাজেট ছিলো পরনির্ভরশীল। বাজেট প্রণয়ের আগে বিদেশী সাহায্যের অপেক্ষায় থাকতে হতো। কিন্তু বর্তমানে বাজেটের ৯০ শতাংশের অধিক ব্যয় মিটানো হয় অভ্যন্তরীন রাজস্ব আহরণ থেকে। অভ্যন্তরীন রাজস্ব আয়ে কাস্টমসের বড় ভূমিকা রয়েছে। বিগত দশ বছরে কাস্টমস কর্তৃক আদায়কৃত রাজস্ব বেড়েছে চার গুণের বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এর পরিমান ছিলো ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা যা মোট রাজস্ব আয়ের ৩০ শতাংশ। তিনি কাস্টমস কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সিএ্যান্ডএফ এজেন্টসহ সকলকে ন্যায় পরায়নতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকেই যদি তার নিজ নিজ দায়িত্বটুকু সততার সাথে পালন করে তাহলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।

মোংলা কাস্টম ইাউসের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস এর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য সুলতান মোঃ ইকবাল, খুলনা কর আপীল অঞ্চলের কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ মোস্তফা কামাল, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সহ সভাপতি মোস্তফা জিসান ভূট্ট, বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি শেখ লিয়াকত আলী, সিএ্যান্ডএফ এর সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান টিটো এবং শিপিং এজেন্টের সভাপতি ক্যাপটেন মোঃ রফিকুল ইসলাম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট খুলনার অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ রাশেদুল আলম।

বিশেষ অতিথিরা বলেন, বাংলাদেশ কাস্টমসের কাজ কেবল রাজস্ব আহরণ নয়। রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয় করে বাংলাদেশের সীমান্তকে নিরাপদ করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ কাস্টমস। বাংলাদেশের শুল্ক স্টেশনগুলো ব্যবহার করে কেউ যেন দেশের জন্য ক্ষতিকর কোন পণ্য আমদানী করতে না পারে সেজন্য স্মার্ট সীমান্ত ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। একই সাথে বাংলাদেশ থেকে ভালো মানের পণ্য রপ্তানী করে বিদেশে যেন বাংলাদেশের একটি ব্রান্ডিং তৈরী হয় সেজন্য কাস্টমস বিভাগ তৎপর রয়েছে। অটোমেটেড সিস্টেমের ম্যধ্যমে এক জায়গা থেকে সব ধরণের সেবা প্রদানের উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ, মোংলা কাস্টম হাউসকে খুলনা থেকে মোংলাতে স্থানান্তরের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানান। একই সাথে তারা বন্দর এলাকায় ব্যাংকসহ অন্যান্য পরিসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানান।