অষ্টাদশ ‘সুন্দরবন দিবস’ পালিত

482

গাজী মাসুম :
‘বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন’ স্লোগান নিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়েছে অষ্টাদশ ‘সুন্দরবন দিবস’। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০১ সাল থেকে এ দিনটিতে সুন্দরবন দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার হাদিস পার্ক থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করে বাংলাদেশ বনবিভাগ ও সুন্দরবন অ্যাকাডেমি। শোভাযাত্রা শেষে খুলনার প্রেস ক্লাবে হয় সেমিনার। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বনভূমি সুন্দরবন। বাংলাদেশের বাগেরহাট, খুলনা এবং সাতক্ষীরা জেলা ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে বিস্তৃত এই বন। ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ বনের ছয় হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও, চিত্রা হরিণ, কুমির, সাপ, নানান নানান প্রজাতির পাখিসহ অসংখ্য বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল এই সুন্দরবন। আন্তর্জাতিক রামসার কনভেনশন অনুযায়ী ১৯৯২ সালে সুন্দরবনকে ‘রামসার স্থান’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় সুন্দরবন। আয়োজকরা বলছেন, বিভিন্ন এলাকায় সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে শিল্পায়ন, বন্যপ্রাণী শিকার ও কাঠ পাচারের কারণে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর ও পরশের উদ্যোগে এবং দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনেই ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়।