খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলেন ; নেতাকর্মীদের তোপের মুখে ফখরুল

454

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি নিয়ে নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতারা তোপের মুখে পড়েন।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বক্তব্যের এক পর্যায়ে দর্শক সারি থেকে এক নেতা বলে ওঠেন- খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলেন, কবে এবং কীভাবে মুক্তি পাবেন? খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি নেই কেন? আজকে হল রুম খালি কেন?

প্রথমে মওদুদ আহমদ সেই কথা শুনতে পাননি। দর্শক সারি থেকে দ্বিতীয়বার একই প্রশ্ন করা হলে মুহুর্তের মধ্যেই পুরো পরিস্থিতি পাল্টে যায়। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান তুলেন নেতাকর্মীরা। সে স্লোগান এতটাই জোরালো হয়ে উঠে যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বক্তব্য থামিয়ে দেন। স্লোগান শেষ হলে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে আজ কোর্র্টে আনার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি।

আজকে উনাকে কোর্টে হাজির করতে পারেনি তারা (প্রসিকিউশন)।

আজকে তাকে দেখার সৌভাগ্যও হয়নি। এই কথাই বলতে চাচ্ছিলাম। তিনি বলেন, আপনারা স্লোগানকে বাস্তবায়ন করতে চান না? আপনারা খালেদা জিয়ার কথা শুনতে চান না। খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। আইনী প্রক্রিয়ায় তার মুক্তি সম্ভব না। একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করা সম্ভব। সুপরিকল্পিত আন্দোলন কর্মসূচি দিতে হবে। যাতে এবার আমরা পরাজিত না হই। আর বেগম জিয়ার মুক্তি হবে আমাদের এক নাম্বার এজেন্ডা।

সভাটির সভাপতিত্ব করছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতারা ফের স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত করে তোলে সভাস্থল। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পর মির্জা আলমগীরের বক্তব্যের সময় নেতাকর্মীরা স্লোগান স্লোগানে উত্তপ্ত করে তোলে হলরুম। এবারও দর্শক সারি থেকে এক নেতা মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে বলেনÑ ‘বিএনপির কমিটি ভেঙে দেন। আজকে হল খালি কেন?’ এ সময় নেতাকর্মীরা সমস্বরে প্রশ্ন করতে থাকেনÑ ‘খালেদা জিয়া কবে মুক্তি পাবেন? তার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে না কেন?’

জবাবে বিএনপির মহাসচিব ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘দাঁড়ান, হলে বসে চিৎকার করলে হবে না।’ কর্মসূচি দেয়া হবে ধৈর্য ধরেন। চাইলেই কর্মসূচি দেয়া যায় না। কর্মসূচি পালন করতে হবে তো। সব কিছুই হবে। ধৈর্য ধরতে হবে। এখানে হলের মধ্যে বসে চিৎকার করলে হবে না।

কথা শুনুন, থামেন আপনারা। এ সময় নেতাকর্মীরা বলেন, হয় কর্মসূচি দেন, না হয় কমিটি ভেঙে দেন। পরে পরিস্থিতি সামলে তিনি বলেন, ‘আপনারা কেন ভাবছেন, ব্যর্থ হয়েছেন। আপনারা ব্যর্থ হননি। আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন কায়েম করতে ১০ বছর ধরে নির্যাতন চালাচ্ছে।’