ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা ক্রমশ উন্নতির দিকে

520

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা ক্রমশ উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। ‘সিঙ্গাপুরে নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের উন্নত চিকিৎসা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না’ বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ খন্ডন করে হানিফ বলেন, ‘দু’জনের চিকিৎসার তুলনা হয় না।’

দলের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। অন্যদিকে, খালেদা জিয়া দন্ডিত কয়েদি এবং পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বনকারী। কারাবিধি অনুযায়ী তিনি সর্বোচ্চ যে চিকিৎসা সুবিধা পেতে পারেন, কারাকর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই সে ব্যবস্থা করবেন। তার চিকিৎসা সরকার বা কোনও রাজনৈতিক দলের বিষয় নয়। ওবায়দুল কাদের এবং একজন দন্ডিত কয়েদির চিকিৎসার তুলনা করাটা দুঃখজনক।’

এই সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসারত ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডা. আবু নাসের রিজভী মাহবুব-উল আলম হানিফকে ফোন করেন। ফোনে কথা শেষ করে হানিফ জানান, সিঙ্গাপুর থেকে খবর এসেছে, দলের সাধারণ সম্পাদকের শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘যেভাবে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, তাতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবেন বলে আশ করা হচ্ছে। এরপর তার বাইপাস সার্জারি করা হবে।’ সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশবাসী ও নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরে আসবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন হানিফ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিএনপি এখন রাজনৈতিকভাবে দেওলিয়া একটি দল। তাদের কর্মসূচি-কর্মকান্ড নিয়ে কেউ ভাবে না।’
গণফোরামের দুই সংসদ সদস্যের শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়েছে সংসদে এসে তাদের পক্ষে কথা বলার জন্য।’ এই দুই সংসদ সদস্যের মতো বিএনপির নির্বাচিতদেরও সংসদে এসে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।