উন্নয়নে ছোঁয়া লাগেনি বহরবুনিয়া ইউনিয়নে, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন

967
আকাশ বৈরাগী সনেট, জেলা প্রতিনিধি- বাগেরহাট
বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমান উন্নয়ন হয়েছে। শহর থেকে শুরু করে অজপাড়া গ্রাম সেখানেও হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। তবে সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘসিয়াখালী চ্যানেল সংলগ্ন বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার ১১ নং বহরবুনিয়া ইউনিয়ন। ভৌগলিকভাবে পানগুছি নদীর তীরে অবস্থিত এই ইউনিয়ন সবসময় থাকে নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে। তাছাড়া ঝড় ঝঞ্ঝা , ঘূর্ণিঝড়ের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো আছেই। সেই দুর্যোগ মোকাবেলায় নেই কোন পর্যাপ্ত নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র, নেই নদী ভাঙন রক্ষা বাঁধ। তাছাড়া সারা ইউনিয়নে নেই কোন পিচঢালা পাকা পথ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সারা ইউনিয়নে ছোট বড় মোট ৩১ টি খাল রয়েছে। একটি গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়ার জন্য তেমন কোন পাকা ব্রিজ নেই। যানবাহন চলার মত কোন পথ না থাকার ফলে হেটে চলা মেঠো পথই একমাত্র উপায় এবং বৃষ্টি হলে তাও সম্ভব হয় না। গ্রামবাসীর সাথে আলাপকালে তারা বলেন, সারা দেশে উন্নয়ন অথচ আমরা কিছুই পাই না। আমাদের ছেলেমেয়েদের রাস্তাঘাটের অভাবে স্কুলে যেতে অনেক কস্ট হয়।  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট বাচ্চাদের অনেক কস্ট হয়। বৃষ্টি হলে তারা স্কুলে যেতে পারে না। তাছাড়া বেড়িবাঁধ না থাকার ফলে লোনা পানি জমিতে প্রবেশ করে মাছের ঘের সহ ফসলী জমি নষ্ট হয়ে যায়। আরও রয়েছে সুপেয় পানির অভাব যার দরুন প্রচন্ড রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এই এলাকার বাসীন্দারা।   বহরবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এবং পর পর দুই বার নির্বাচিত বর্তমান ইউ পি চেয়ারম্যান তালুকদার রিপন হোসেনের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সভাপতি,মানবতার মা, বঙ্গবন্ধু কন্যা ,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। তবে তার সেই উন্নয়ন আমরা আমাদের এই এলাকায় করতে পারি নি তার জন্য আমি বহরবুনিয়া ইউনিয়নবাসী সহ সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। আমাদের এই বহরবুনিয়া ইউনিয়ন ভৌগলিক ভাবে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এই ইউনিয়নে ছোট বড় প্রায় ৩১ টি খাল রয়েছে। প্রতিটি খালেই কাঠ এবং লোহা দিয়ে সাকো তৈরী করা হয়েছে যাতে সাধারন মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারে। তবে এই সাকোগুলো বছরে দুইবার করে মেরামত করতে হয় যা ব্যয়বহুল এবং কষ্ট সাধ্য। সেই বরাদ্দে মেরামত না হওয়ায় এলাকার মানুষের বিভিন্ন সহযোগিতায় প্রতিবছর এই সাকোগুলো মেরামত করতে হয়।   এল জি এস পি ৩ থেকে আমরা এ বছর মাত্র ১২ লক্ষ টাকা পেয়েছি যা দিয়ে অল্প কিছু সংখ্যক সাকোর মেরামত করতে পেরেছি। তাছাড়া বাকি যে বরাদ্দ আসে তাতে পাকা ব্রিজ করা সম্ভব হয় না। আমার ইউনিয়নে একমাত্র একটি পাকা ব্রিজ রয়েছে , এটা ছাড়া এই ইউনিয়নে কোন পাকা ব্রিজ নেই যার দরুন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভঙ্গুর। এবং নদী ভাঙন রক্ষায় কোন টেকসই বাঁধ না থাকার ফলে লোনা পানি প্রবেশ করে এলাকায় ফসল সহ মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান ইশতেহার গ্রাম হবে শহর বাস্তবায়নে বিশেষ বরাদ্দ ছাড়া সম্ভব নয়। তাই  প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার আকুল আবেদন তিনি যেন এই এলাকার প্রতি টেকসই উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা গ্রহন করেন।