খুলনার বিসিক শিল্প নগরীতে ১৪ টি প্রতিষ্ঠান রুগ্ন হিসেবে চিহ্নিত

272

 গাজী মাসুম, বিশেষ প্রতিনিধি :

বন্দর নগরীর খুলনার শ্যামগঞ্জ মৌজায় ৪১ বছর আগে স্থাপিত বিসিক নগরী আজও পূর্ণতা পায়নি। ৪৪ একর জমির ওপর স্থাপিত ৮৮ টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৪টি চালু হয়েছে। দশটি উৎপাদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ১৪ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রুগ্ন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই ব্যাংকের কাছে ঋণ খেলাপি। ব্যাংকের পাওনা আদায়ের জন্য আগামী মাসে চারটি প্রতিষ্ঠানকে নিলামের লক্ষে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র প্রকাশ, শ্যামগঞ্জ মৌজার শিরোমনিতে শিল্প নগরী গড়ার জন্য ১৯৬৫ সালের ৮ মার্চ কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। ১৯৭৮ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। কর্তৃপক্ষ ২৪০ টি প্লটের বিপরীতে ৮৮ টি শিল্প ইউনিট স্থাপণের উদ্যোগ নেয়। চালু হওয়া ৬৪টি ইউনিটের মধ্যে ২৩ টি খাদ্যজাত, ৩ টি পাটজাত, ৬ টি বনজ, ৩০ টি কেমিকেল, ১৩ টি প্রকৌশল শিল্প, ৫ টি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং, ২ টি ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স বাকিগুলো চামড়াজাত, বস্ত্রজাত ও গ্লাস সিরামিক। চালু প্রতিষ্ঠানে ৪ হাজার ৫৪৪ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। বছরে ৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। সূত্র আরো জানান, রুগ্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে রয়েছে, মহাসিন টেক্সটাইল, নাহিদ উলেন, বারী ইন্ড্রাস্ট্রিজ, সোহানা ইন্ড্রাস্ট্রিজ, মধুমতি কোক এন্ড ব্রিকেট, মর্ডান সিপি, জামান এসোসিয়েট, সায়রা এগ্রো, এআরএ ফ্লাওয়ার, ওয়ার্ক লেদার, এশিয়ান প্যাকেজিং, এক্রোরিসোর্স, এলার্ম ইন্ড্রাস্ট্রিজ, খুলনা পেপার বোর্ড এন্ড প্যাকেজিং ইত্যাদি। বিসিক শিল্প নগরী কর্মকর্তা রওশন আরা বেগম এ প্রতিবেদককে জানান, ব্যাংক ঋণের বোঝা, পণ্য বাজার জাত করতে না পারা, শিল্প ইউনিট বরাদ্দ নেওয়ার পর মালিকানা নিয়ে বিরোধ এবং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব শিল্প ইউনিট রুগ্ন হিসেবে পরিণত হয়েছে।