মোঃ আলামিন খান
বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পালন করা হয় হালখাতা উৎসব। এ উৎসবকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন খুলনার ব্যবসায়ীরা। পহেলা বৈশাখের সূচণালগ্ন থেকে যুগের পর যুগ আবহমান বাংলার ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে ক্রেতাদের সঙ্গে উৎসব আনন্দে সামিল হন। খুলনার অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে। এবার প্রায় ছোটবড় ছয় শতাধিক প্রতিষ্ঠানে হালখাতা উৎসবের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। খুলনা বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতারা জানান, বাংলাসনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব নিকাশ আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়াকে মূলত হালখাতা বলা হয়। ব্যাবসায়ীরা তাদের দেনা-পাওনার হিসাব সমন্বয় করে এদিন হিসাবের নতুন খাতা খোলেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মুসলমান মালিকরা মিলাদ দিয়ে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মালিকরা পূজার মধ্য দিয়ে হালখাতার সূচনা করেন খুলনা ধান চাল বণিক সমিতির সভাপতি মনির আহমেদ বলেন, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়ায় নতুন বাংলা বছরের হালখাতার জৌলুসে ভাটা পড়েছে। ব্যবসায়ীর সংখ্যাও কমেছে। তারপরও খুলনার ২৫-৩০ জন ধান চাল ব্যবসায়ী এবারও হালখাতার আয়োজন করেছেন। মহানগরীর বড় বাজারের মেসার্স মুরাদ ট্রেডিংয়ের পাইকারি বিক্রেতা জিয়াউল হক মিলন বলেন, হালখাতার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দাওয়াত করা হয়েছে গ্রাহকদের। খুলনা জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি নিতাই চন্দ্র ভৌমিক বলেন, বড়বাজারসহ নগরীতে ১২০-১৩০টি ও জেলায় ৫ শতাধিক ছোট-বড় জুয়েলারি দোকান হালখাতা উৎসবের আয়োজন করে থাকে।হালখাতা মূলত খুলনার বড় বাজার কেন্দ্রিক রয়েছে। এখনও এখানকার দোকানগুলো হালখাতা উৎসবের আয়োজন করে।