খুলনা অফিস
খুলনার খানজাহান আলী থানায় একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন সাংবাদিকসহ দুই পক্ষের মাঝে বাকবিতন্ড হয়। এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানায় ১নং আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম সহ পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিমাংসা হয়। এ ঘটনাকে পুঁজি করে একটি চক্র দৈনিক ঢাকা রিপোর্ট এর খুলনা ব্যুরো আবু দাউদ ইমরান, সাংবাদিক আবু হামজা বাঁধন, মনিরুজ্জামান বাবুল সহ কয়েকজন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কতিপয় নিউজ পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক আবু হামজা বাঁধনের ফেসবুক ওয়ালথেকে ছবি সংগ্রহ করে চক্রটি মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেন। আবু হামজা বাঁধন বলেন, কে বা কারা আমার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে । তবে বিষয়টি নিয়ে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক প্রবাহের সাংবাদিক মনিরুজ্জামান বাবুল বলেন, আমরা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ লিখি, অথচ চাঁদাবাজির নামে মিথ্যা ঘটনার সংবাদে আমাদের নিউজের শিরোনাম করছে। যারাই করুক তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করা হবে। আদালতের দরজা অবশ্যই সকলের জন্য খোলা।
জানাযায়, গত ২১ এপ্রিল শিরোমনি গিলাতলায় অবস্থিত একটি বিএসটিআই অনুমোদন বিহীন মিনারেল ওয়াটার কোম্পানীর সত্ত্বাধীকারি মাও : বাশার এর কাছে সংবাদকর্মীরা তথ্য জানতে চাইলে বাক বিতন্ডের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সংবাদকর্মীদের সাথে মাও : বাশারের সমার্থিত কয়েকজন ব্যক্তির সাথে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে খানাজাহান আলী থানা পুলিশ সংবাদকর্মীদের উদ্ধার করে। ওই দিন সন্ধ্যায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা হয়।
তবে একটি চক্র ঘটনাটি পুঁজি করে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে মিথ্যা সংবাদ পরিবশেন করছে বলে দৈনিক ঢাকা রিপোর্ট ব্যুরো প্রধান জানান। আবু দাউদ ইমরান বলেন, ঘটনার সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক ছিল না সাংবাদিক মো.আলামিন খাঁনের । তারপরেও তাঁর ছবি ব্যবহার করা হয় ওই নিউজের ছবিতে। এবিষয় নিয়েও মামলার প্রস্তুতি চলছে (চলবে)